দর্শক তাণ্ডবে মাদ্রিদ ডার্বি, শেষ মুহূর্তে রিয়ালকে গোল দিল অ্যাটলেটিকো
মাদ্রিদ ডার্বি মানেই ধুন্ধুমার কাণ্ড। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। তবে ঝামেলা এবার রিয়াল মাদ্রিদ আর অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের প্লেয়ারদের মধ্যে শুধু নয়। বরং দর্শকদের উৎপাতে খেলা বন্ধ রইল প্রায় ২০ মিনিট। একেবারে শেষ মুহূর্তের গোলে রিয়ালকে রুখে দিল দশজনের অ্যাটলেটিকো। লা লিগার ম্যাচের ফলাফল ১-১।
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে দুই দল। প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণ ভেঙে আক্রমণের চেষ্টা চালালেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না কেউ। ফলে প্রথমার্ধ গোলশূন্য রেখে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধেও সমানতালে চলতে থাকে আক্রমণ। ৬৪ মিনিটে ডেডলক ভাঙে লস ব্লাঙ্কোসরা। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের ক্রস থেকে বল পেয়ে যান মিলিতাও। তার নেয়া ডান পায়ের জোড়ালো শটে অ্যাটলেটিকোর এক ডিফেন্ডারে পা ছুঁয়ে বল চলে যায় জালে। এরপরই দর্শকদের উগ্র আচরণের জন্য বন্ধ থাকে খেলা। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে একসময় অ্যাটলেটিকোতে খেলা বর্তমানে রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে লক্ষ্য করে এদিন গ্যালারি থেকে নানা জিনিস ছুড়ে মারে স্বাগতিক সমর্থকরা। এ ঘটনায় প্রায় ২০ মিনিট বন্ধ ছিল খেলা।
দর্শকদের এমন উগ্র আচরণের মূল কারণ ছিল কোর্তোয়ার উদ্যাপন। রিয়াল গোল পাবার পর অ্যাটলেটিকো সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে উদ্যাপন পছন্দ হয়নি তাদের। ম্যাচের পর সমর্থকদের খেপিয়ে দেওয়ার পেছনে কোর্তোয়াকেই দায়ী করেছেন অ্যাটলেটিকো কোচ, ‘আপনি গোল উদ্যাপন করতেই পারেন, কিন্তু সেটা (প্রতিপক্ষ) সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে নয়। গ্যালারির দিকে গিয়ে এমনভাবে নয়। সমর্থকেরা এমনিতেই চটেনি, তাদের চটার কারণ আছে।’
খেলা শুরু হলেও আক্রমণ অব্যাহত রাখে রিয়াল। ম্যাচ যখন নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে যাচ্ছিল তখন ইনজুরি টাইমে কোররেয়ার গোলে ম্যাচে ফেরে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। কিছুক্ষণ পর ফ্রান গার্সিয়াকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন স্বাগতিক দলের মিডফিল্ডার ইয়োরেন্তে। শেষ পর্যন্ত ১-১ স্কোরলাইনে শেষ হয় ম্যাচ।
উল্লেখ্য, লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে ৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে রিয়াল। সমান ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা।