টেস্ট ক্রিকেটে ৪ হাজার ৬শ রানের মালিক সাকিব, উইকেট ২৪২টি
বিশ্বসেরা ক্রিকেট অলরাউন্ডারের মধ্যে একজন সাকিব আল হাসান। দেশ-বিদেশে সাকিবের অসংখ্য ভক্ত। অনেক উঠতি ক্রিকেটার অনুসরণ করেন তাকে। সাকিব আল হাসান ব্যতিক্রমি এক চরিত্র। সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ক্রীড়াবিদ তো বটেই, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হিসেবে। তবে এবার সাদা পোশাকে ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব।
চলমান ভারত সফরে কানপুরে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ শুরুর পূর্বে সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ইতি টানেন এই কিংবদন্তি। এরপরই একটি পোস্ট দিয়েছেন সাকিব। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টার পোস্ট করেন সাকিব। যেখানে তার টি-টোয়েন্টি ও টেস্টের পরিসংখ্যান লেখার রয়েছে।
টেস্টে এখন পর্যন্ত ৭০ ম্যাচে ১২৮ ইনিংসে ব্যাট হাতে ৪৬০০ রানের পাশাপাশি বল হাতে ২৪২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আর টি-টোয়েন্টিতে ১২৯ ম্যাচে ২৫৫১ রানের পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ১৪৯ উইকেট। সাকিবের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ২০০৭ সালে চট্রগ্রামে ভারতের বিপক্ষে।
ষষ্ঠ সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে মাত্র ২২ বছর ১১৫ দিন বয়সে পেয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের টেস্ট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব। টেস্টে তার যেমন রয়েছে এক ম্যাচে শত রান ও শুন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড তেমনি রয়েছে এক ম্যাচে শত রান ও ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। ত্রয়োদশ খেলোয়াড় হিসেবে টেস্টে ৫ বার প্লেয়ার অব দ্যা সিরিজ নির্বাচিত হয়েছেন সাকিব।
মূলত, দেশে ফেরার জন্য বিসিবির কাছে নিজের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার। কিন্তু নতুন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমদে জানিয়েছেন, বিসিবি তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার কেউ না। সুতরাং, সাকিবের দেশে ফেরার পথ যে সহজ নয়, তা ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন সাকিব। তাই অনেকের প্রশ্ন সেই জন্যই কি এই পোস্ট দিলেন সাকিব। ভারতের বিপক্ষে এই টেস্ট দিয়েই কি লাল বলের ক্যারিয়ারের ইতিটানতে চলেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুন: অবসরের ঘোষণা দিলেন সাকিব আল হাসান
আর টি-টোয়েন্টিতে ১২৯ ম্যাচে ১২৭ ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন। ২৩.১৯ গড়ে ১৩ ফিফটিতে করেছেন ২৫৫১ রান। সর্বোচ্চ রান ৮৪। বল হাতে ১২৬ ইনিংসে ৬.৮১ ইকোনোমিতে নিয়েছেন ১৪৯ উইকেট। ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ২০ রানে ৫ উইকেট।