ইকুয়েডরের বিপক্ষে জয় পেল ব্রাজিল
ফিফার সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুটি করে ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে গত চার ম্যাচেই জয়শূন্য ছিল ব্রাজির। অবশেষে রদ্রিগোর একমাত্র গোল ইকুয়েডরের বিপক্ষে জয় এনে দিয়েছে ব্রাজিলকে। ইকুয়েডরকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে জয় পেয়েছে ব্রাজিল। এ জয়ের ফলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চার ম্যাচ পর জয় পেল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় শুরু হয় ম্যাচটি। বল দখল, গোলের সুযোগ তৈরি ও লক্ষ্যে শটের বিবেচনায় এগিয়ে ব্রাজিল। ঘরের মাঠে তৃতীয় মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ব্রাজিল। রদ্রিগোর ফ্রি কিকে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি লুইস এইহিক। ক্রসবার ঘেঁষে বেরিয়ে যায় বল।
নয় মিনিট পর ডি বক্সের বাইরে থেকে রদ্রিগোর শট ফেরান একুয়েডর গোলরক্ষক হেরমান গালিনদেস। ৩০তম মিনিটে আর রেয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডকে ঠেকাতে পারেননি তিনি। লুকাস পাকেতার কাছ থেকে বল পেয়ে চমৎকার ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন রদ্রিগো।
প্রথম গোলের ৫ মিনিট বাদেই ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন ভিনিসিয়াস। বক্সের বাইরে থেকে ভিনির নেওয়া চিপ শট ইকুয়েডর গোলকিপারকে পরাস্তও করেছিলেন। কিন্তু তা দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে সমতা প্রায় ফিরিয়েই ফেলেছিল ইকুয়েডর। ব্রাজিলের তিন খেলোয়াড়ের ঘের থেকে বল পায়ে বেরিয়ে যান কেভিন রদ্রিগেস।
অনেকটা এগিয়ে গিয়ে ডি বক্সের মাথায় তিনি খুঁজে নেন কেইসেদোকে। চেলসি মিডফিল্ডারের প্রথম শট ফেরান ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসন। ফিরতি শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন গাব্রিয়েল মাগালিয়াইস। প্রথমার্ধে গোল হজমের পর ইকুয়েডর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত এই গোলকে পুঁজি করেই জয় পেয়েছে ব্রাজিল।
এ জয়ে ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চারে উঠে এসেছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ছয়ে ইকুয়েডর। ৭ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে আর্জেন্টিনা। ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় উরুগুয়ে। তৃতীয় কলম্বিয়ার সংগ্রহ ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট।
লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ ছয় দল সরাসরি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। সপ্তম দলটিকে খেলতে হবে প্লে অফ।