পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের হাতছানি পেল টাইগাররা। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে এরইমাঝে পাকিস্তানকে প্রথমবার টেস্টে হারানোর স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা। এবার হোয়াইটওয়াশের অমূল্য স্বাদ পেল বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটের হারিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে টেস্ট জয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ।
বৃষ্টির বাগড়ায় প্রথমদিনের খেলা ভেসে গেল। দ্বিতীয় দিন টস হলো। টসে জিতে স্বাগতিক পাকিস্তানকে ব্যাটিং এ আমন্ত্রণ জানালেন টাইগার দলপতি। মনে হচ্ছিল নিশ্চিত ড্র এর দিকে এগোচ্ছে ম্যাচ। দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে ২৭৪ রানে অলআউট পাকিস্তান। তৃতীয় দিনের শুরুতে ২৬ রানে ৬ উইকেটে ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলাদেশের।
এরপরে ঘুরে দাঁড়ানো। আরও একবার প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে বলা ক্রিকেট ইজ এ আনসারটেন্ট গেম। চতুর্থ দিনে বাংলাদেশী পেসারদের গতির তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ। পঞ্চম দিনে নির্ধারিত জয়ের হাসি।
বাংলাদেশের ১৪৪ তম টেস্টে ২১তম জয় এটি। বাকী ড্র করেছে ১৮ টি ও হেরেছে ১০৫ টি ম্যাচ। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে এখন হারাতে বাকি থাকলো শুধু ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ওই দুটি দেশকে হারাতে পারলেই সব দেশের বিপক্ষে জয় পাওয়া হবে টাইগারাদের।
দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিনে বিনা উইকেটে ৪২ রান দিয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। দলীয় ৫৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেটে পতন হয় বাংলাদেশের। ওপেনার জাকির হাসানকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান পাকিস্তানের পেসার মির হামজা। ফিরে যাওয়ার আগে ওয়ানডে মেজাজে তিনি খেলেন ৩৯ বলে ৪০ রানের ইনিংস। ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ৩ চার ও ২ ছক্কায়। এরপরে দলীয় আরও ১২ রান যোগ করতে আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামকে ফেরান পাকিস্তানের আরেক পেসার খুররাম সাহাজাদ।
এরপরে অধিনায়ক শান্ত ও মমিনুল হলের ধীরস্থির ব্যাটিং। দুজনে মিলে গড়েছেন অর্ধশত রানের পার্টারশীপ। অধিনায়ক শান্ত ব্যক্তিগত ৩৮ রানে আঘা সালমানের শিকার হয়ে ফিরে যান। এরপর সাকিব ও মুশফিক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জয়ী হয় বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘ ১৩ টেস্টে খেলে প্রথমবারের মত জয় পায়। বাকী ১২টি জয় পায় পাকিস্তান, আর ড্র হয় একটি ম্যাচ।