হত্যা মামলার আসামি সাকিব, ক্রিকেটীয় ভবিষ্যৎ কী?
বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে আদাবর থানায়। সরকারবিরোধী আন্দোলনে মিছিলে অংশ নেওয়া রুবেল নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। রুবেলের হত্যার আসামি হিসেবে সাকিবের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সাকিব এখন পাকিস্তানে টেস্ট খেলছেন। তার বিরুদ্ধে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পর্যন্ত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়নি। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে সাকিব বাংলাদেশে ফিরলে তাকে গ্রেফতার করবে পুলিশ।
এমনিতেও সাকিবের দেশে ফেরার সম্ভাবনা কম ছিল। পাকিস্তানে টেস্ট খেলার পর যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতেন তিনি। দেশটির পাসপোর্ট না থাকলেও স্ত্রীর সুবাদে সেখানে স্থায়ী ভাবে বসবাসের অনুমতি আছে সাকিবের।
এর আগে পেসার রুবেল হোসেন ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। চারদিন জেল হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয়ে ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলেছিলেন তিনি। সাকিব গ্রেফতার হলেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকার প্রমাণ দিয়ে জামিন পেতে পারেন। তখন আর খেলায় বাধা থাকবে না। এর আগেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ হলে ব্যাপারটি এমনিতেই নিষ্পত্তি হয়ে যাচ্ছে।
আদাবর থানায় করা মামলাটিতে শুধু সাকিব নয়, রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই মামলায় ২৮ জনকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সাকিবকে রেখেছেন ২৮ নম্বরে।
সাকিবের ঠিকানা লেখা রয়েছে মো.সাকিব আল হাসান, সাবেক সংসদ সদস্য, পিতা: মাশরুর রেজা, সাং-সাহাপাড়া, নতুন বাজার, ডাকঘর: মাগুরা।
সাকিব ছাড়াও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ আরও ১৫৬ জনকে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ৫ আগস্ট পেটে ও পিঠে গুলিবিদ্ধ রুবেল দুইদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।