০৮ আগস্ট ২০২৪, ১০:০০

সাকিবের কাছ থেকে পাওনা আদায় করতে না পারার শোকে মৃত্যুর অভিযোগ

সাকিব আল হাসান  © সংগৃহীত

বিশ্বসেরা ক্রিকেট অলরাউন্ডারের মধ্যে একজন সাকিব আল হাসান। দেশ-বিদেশে সাকিবের অসংখ্য ভক্ত। তবে বিভিন্ন সময় সাকিব আল হাসান মাঠে এবং মাঠের বাইরে বিভিন্ন কারণে আলোচনার কারণ। আবারও আলোচনায় সাকিব। অভিযোগ রয়েছে, হ্যাচারিতে সফট সেল কাঁকড়া নিলেও আজও টাকা পরিশোধ করেননি ক্রিকেটার ও সদ্য বিলুপ্ত সংসদের আ.লীগের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান। সাকিবের কাছে পাওনা টাকা না পেয়ে  চিন্তায় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান গুরুদাস নামে একজন। 

২০১৬ সালে সাতক্ষীরা উপকূলের দাতিনাখালি এলাকায় সড়কের ধারে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান গড়ে তোলেন একটি কাঁকড়া খামার। নাম দেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম। স্থানীয় ১০-১২ জন জমির মালিকের কাছ থেকে লিজ নেন ৪৮ বিঘা জমি। সেই ফার্ম নিয়েই এখন গুরুতর অভিযোগ এসেছে। দেশের একটি গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সাকিবের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা এক কোটিরও বেশি টাকা পান। 

তার কাছে ব্যবসায়ীদের কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে বলে দাবি করেছেন এক পাওনাদার। মুন্সীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের পাশের বাসিন্দা জুলফিকার আলী সফট সেল কাঁকড়া দিতেন সাকিবের হ্যাচারিতে। তিনি বলেন, ‘আমরা কাঁকড়া দিয়ে মাস শেষে টাকা নিতাম। হিসাব রাখতো সাকিবের খামারের দায়িত্বরত ম্যানেজার। এভাবে চলতে চলতে আমার প্রায় তিন মাসের টাকা দেয়নি। আমি এখনও ৫-৬ লাখ টাকা পাবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাকিব, তার বন্ধু পাভেল, ইমদাদ ও আরেকজনসহ মোট চার জন খামারটি করেছিলেন। আমরা মূলত সাকিবকে দেখেই তাদের সঙ্গে ব্যবসায় যুক্ত হয়েছিলাম। মেমোতেও সাকিবের নাম ছিল।’

জুলফিকার আলী বলেন, ‘২০২১ সালে খামারটি বন্ধ হওয়ার পরে নানাভাবে আমরা চেষ্টা করেছি টাকা আদায় করতে। তবে কোনোভাবেই আদায় করতে পারিনি। বছরখানেক আগে মাগুরায় সাকিব আল হাসানের বাড়িতে গিয়েছিলাম তার বাবার কাছে। আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল। তারপর থেকে বিষয়টি সেভাবেই রয়েছে। টাকা পাবো তার মেমো বা প্রমাণপত্র এখনও রয়েছে।’

সাকিব আল হাসানের কাছে পাওনা ৩০ লাখ টাকার শোকে মারা গেছেন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ভামিয়া গ্রামের গুরু দাস। এমন অভিযোগই করেছেন জুলফিকার আলী।

তিনি বলেন, ‘গুরু দাস হার্ড কাঁকড়া দিতেন সাকিবের খামারে। ৩০ লাখ টাকা বাকি পড়ে তার। গুরু দাস, আমিসহ ৪-৫ জন সাকিবের বাড়িতে গিয়েছিলাম। বাড়ি থেকে সাকিবেরর বাবা খারাপ ব্যবহার করে বের করে দেওয়ার পর মন খারাপ করে আমরা ফিরি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গুরু দাসের ব্যবসা ভালো যাচ্ছিল না। অন্যরা তার কাছে টাকা পাবে। এদিকে সাকিবের কাছে পাওনা টাকাও পাচ্ছিল না। এসব নিয়ে চিন্তায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান গুরু দাস। আমরা ১৩-১৪ জন এখনও সব মিলিয়ে কোটি টাকার বেশি পাবো ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের কাছে। আমরা আমাদের পাওনা টাকা ফেরত চাই।’

সাকিবের বিরুদ্ধে এমন ব্যবসায়ীদের আরও অনেক অভিযোগ দেখা গেছে সেই প্রতিবেদনে। এই অলরাউন্ডার এখন দেশের বাইরে থাকায় এই ব্যাপারে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।