কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের জন্য আর্জেন্টাইন ফুটবলারের প্রার্থনা
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অস্থির সময় পার করছে বাংলাদেশ। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলায় বিপুল হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও প্রকাশ পেয়েছে। যা পৌঁছে গেছে ২০২২ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মানুষের বিপুল সমর্থন পাওয়া আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের কাছে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সমর্থকদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার এনজো ফার্নান্দেজ। বিশ্বকাপজয়ী ২৩ বছর বয়সী মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজে লিখেছেন, ‘আমার সকল বাংলাদেশী অনুসারীদের জন্য জানাচ্ছি, আমি তোমাদের কথা শুনি এবং তোমাদের জন্য প্রার্থনা করি।’
পোস্টের সঙ্গে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার পতাকা জুড়ে দেন চেলসিতে খেলা এই ২৩ বছর বয়সী ফুটবলার। এর আগে গত মাসের ২৯ জুলাইও বাংলাদেশে আক্রান্তদের প্রার্থনা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন। এনজো তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশে যেসব মানুষ ভোগান্তির মধ্যে আছেন, তাদের জন্য আমার প্রার্থনা ও সহমর্মিতা রইলো।’
তবে এর আগে বর্ণবাদী আচরণের দায়ে অভিযুক্ত হন এনজো ফার্নান্দেজ। যদিও এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে না বলে জানায় চেলসি। এ ব্যাপারে কোচ এনজো মারেসকা জানিয়েছেন, সব খেলোয়াড় এনজোকে মেনে নিয়েছেন। যে কারণে সব সমস্যা মিটে গেছে। যদিও নিজের কৃতকর্মের জন্য চেলসির কাছে বেশ কয়েকবার ক্ষমা চেয়েছেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এনজো।
গত ১৪ জুলাই কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা জয় উদযাপনের সময় টিমবাসে সতীর্থদের নিয়ে গান করছিলেন এনজো ফার্নান্দেজ। সেই ভিডিও তিনি ইনস্টাগ্রামেও পোস্ট করেন। গানের ছলে আর্জেন্টাইন এই তারকা ফ্রান্সের কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলারদের উদ্দেশে বর্ণবাদী আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এনজোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পাল্টা একটি ভিডিও পোস্ট করেন চেলসিতে তার সতীর্থ ওয়েসলি ফোফানা। সেখানে এনজোর এই কাজকে কুণ্ঠাহীন বর্ণবাদী বলে উল্লেখ করেন তিনি। পরে ঘটনাটি নিয়ে তদন্তের কথা জানায় চেলসি কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি জানায়, দলীয় শৃঙ্খলা ফেরাতে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চেলসি। এখন সেগুলো শেষ হয়েছে। এনজোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চেলসি কোচ মারেকসা বলেন, আমরা সবাই খুব আরামদায়ক এবং ভালো বোধ করছি। এনজো ফার্নান্দেজ ফিরে এসেছে। সে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। বিষয়টি স্পষ্ট করেছে যে, তার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না।