ইউরোর ইতিহাসে প্রথমবার ছয়জন জিতলেন গোল্ডেন বুট
ইউরোর ফাইনালে গোল্ডেন বুটের পুরস্কার জেতার লড়াইয়ে ছিলেন ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন এবং স্পেনের দানি ওলমো। তবে কেউই গোলের দেখা না পাওয়ায় এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ছয়জন একসঙ্গে জিতলেন ব্যক্তিগত এই পুরস্কার।
সাধারণত ব্যক্তিপর্যায়ের পুরস্কারগুলো একজনই পেয়ে থাকেন। এক যুগ ধরে ইউরোর সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুটও এভাবেই দেওয়া হয়েছে। হিসাবটা যেহেতু গোলের, দেখা যায় একাধিক খেলোয়াড় সমানসংখ্যক গোল করেছেন। এবারই যেমন সেমিফাইনাল পর্যন্ত টুর্নামেন্ট-সর্বোচ্চ ৩ গোল করেছেন কেইন, ওলমো ছাড়াও নেদারল্যান্ডসের কোডি গাকপো, জর্জিয়ার জর্জেস মিকাউতাজে, জার্মানির জামাল মুসিয়ালা ও স্লোভাকিয়ার ইভান শ্রাঞ্জ।
এবারের ইউরোতে ৩টি করে গোল করেন স্পেনের দানি ওলমো, ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন, জার্মানির জামাল মুসিয়ালা, নেদারল্যান্ডসের কোডি গাকপো, স্লোভেনিয়ার ইভান শারাঞ্জ ও জর্জিয়ার জর্জেস মিকাউতাদজে। তবে ফাইনালে এককভাবে সর্বোচ্চ গোল করে গোল্ডেন বুট জেতার সুযোগ ছিল শুধু দুইজন ফুটবলারের। আর তারা হলেন স্পেনের ওলমো এবং ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন। তবে দুইজনের একজনও জালের দেখা পাননি আজ।
আর এর ফলে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এত বেশি সংখ্যক গোল্ডেন বুটজয়ী ফুটবলার দেখলো ইউরো টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত তিন গোল করেছেন ছয়জন ফুটবলার।
এবারের ইউরোতে গোল্ডেন বুট জিতেছেন- হ্যারি কেইন (ইংল্যান্ড), দানি ওলমো (স্পেন), কডি গাকপো (নেদারল্যান্ডস), জামাল মুসিয়ালা (জার্মানি), জর্জেস মিকাউতাদজে (জর্জিয়া), ইভান শারাঞ্জ (স্লোভাকিয়া)।
এর আগে, ইংল্যান্ডের ৫৮ বছরের অপেক্ষা আরও বাড়িয়ে ১২ বছর পর আবারও ইউরোপ সেরা হয়েছে স্পেন। সাউথগেটের শিষ্যরা স্পেনের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে। আর এতে করে রেকর্ড চতুর্থ ইউরো শিরোপা জিতলো স্পেন। এতদিন সর্বোচ্চ ইউরো জয়ের রেকর্ড ছিল যৌথভাবে স্পেন ও জার্মানির। চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেটা নিজের করে নিল স্প্যানিশরা। তাই স্পেনকে এখন ইউরোর নতুন রাজা বলাই যায়। আর টানা দুইবার ফাইনালে উঠেও ইউরোর শিরোপা জেতা হলো না ইংলিশদের।
উল্লেখ্য, সবশেষ ২০২০ ইউরোতেও টুর্নামেন্ট-সর্বোচ্চ গোল ছিল একসঙ্গে দুজনের। পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর চেক প্রজাতন্ত্রের প্যাট্রিক শিক ৫টি করে গোল করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত গোল্ডেন বুটের পুরস্কারটা পেয়েছিলেন রোনালদো। কারণ, ৫ গোলের সঙ্গে একটি ‘অ্যাসিস্ট’ও (গোলে সহায়তা) ছিল পর্তুগিজ তারকার, যা শিকের ছিল না।