নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ইউরোর টানা দ্বিতীয় ফাইনাল খেলবে ইংল্যান্ড
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিতের মিশনে মাঠে নেমেছিলো নেদারল্যান্ডস ও ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে শেষ হাসি দেখার অপেক্ষায় ছিলো দুই দলের সমর্থকরা। তবে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়ে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। এই জয়ে টানা দ্বিতীয় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে শেষ মুহূর্তের গোলে শেষ হাসি হাসে ইংলিশরা।
বুধবার (১০ জুলাই) বাংলাদেশ সময় রাত একটায় শুরু হয় ম্যাচটি। ম্যাচ মাঠে গড়ানোর পর এগিয়ে যেতে খুব বেশি সময় নেয়নি নেদারল্যান্ডস। সপ্তম মিনিটে নিজেদের অর্ধে ডেকলাইন রাইস বল হারালে টেনে নেন জাভি সিমন্স। কয়েকজনকে কাটিয়ে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে ঠিকানা খুঁজে নেন পিএসজির এই মিডফিল্ডার।
বিরতির পর বল দখলে রেখে সুযোগ খুঁজতে থাকে ইংল্যান্ড। ৭৬তম মিনিটে ভট ভেগহর্স্টের বক্সে দেওয়া দারুণ পাস ভলিতে জালে পাঠানোর চেষ্টা করেন সিমন্স। তবে পিকফোর্ডের অসাধারণ সেভে রক্ষা পায় ইংলিশরা। তিনি মিনিট পর বল জালে পাঠায় ইংল্যান্ড। ডান দিক থেকে আক্রমণে গিয়ে কাইল ওয়াকার ক্রস বাড়ান বক্সের মাঝামাঝি। অরক্ষিত বুকায়ো সাকা জালে বল পাঠালেও অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। বাতিল হয় গোল।
৮৪তম মিনিটে সুযোগ পায় ডাচরা। আক্রমণে যাওয়া ভেগহর্স্ট কয়েকজনকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে যান। তবে সেখানে গুয়েহি দারুণ এক সেভে বাঁচান ইংলিশদের। ৯০তম মিনিটে বদলি হয়ে নামা ওয়াটকিন্স দেখান জাদু। ডেকলাইন রাইস থেকে নেওয়া বল বক্সে বাড়ান কোল পালমার। কোল পালমারের কাছ থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ইংল্যান্ডকে ২–১ গোলের এগিয়ে দেন ওয়াটকিনস। আর বদলি নামা এ্ই অ্যাস্টন ভিলা ফরোয়ার্ডর গোলই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য।
স্টেডিয়ামে থাকা দর্শক দাঁড়িয়ে দিতে থাকে হাততালি। আর ইংলিশ ফুটবলাররা ভাসেন উচ্ছ্বাসে। প্রথমবারের মতো তারা কোনো মেজর প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার আনন্দ প্রকাশ করেন এভাবেই।
ইতোমধ্যে প্রথম সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে স্পেন। ইউরোর ফাইনালে শিরোপাজয়ের লক্ষ্যে আগামী সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় বার্লিনে স্পেনের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।