০৮ জুলাই ২০২৪, ১১:৪১

বদলে গেল সমীকরণ, ব্যালন ডি’অরে কে এগিয়ে?

ব্যালন ডি’অর  © সংগৃহীত

ফুটবলের সর্বোচ্চ মর্যাদার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। তবে এটি কার হাতে উঠছে তা দেখার জন্য সারা বিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকে। আগামী ২৮ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর নাম। আর এবার হিসেব করা হবে ২০২৩ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত পারফরম্যান্সকে। সেই হিসেবে চলতি মাসেই তালিকায় থাকায় ফুটবলারদের সামনে সুযোগ নিজেদের আরও এগিয়ে নেওয়ার।

আগামী সপ্তাহে পর্দা নামছে কোপা আমেরিকা ও ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের। একসঙ্গে শুরু হচ্ছে কোপা ও ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল। টুর্নামেন্ট দুইটির পর্দাও নামবে একই সঙ্গে। 

গত কয়েকদিন ধরে গুঞ্জন বেশ জোরেশোরেই শোনা যাচ্ছিল যে মেসি, রোনালদোর বাইরে এবারের ব্যালন ডি’অর জিতবেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তবে, কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ব্রাজিলের বিদায়ের পরই বদলে গেল সমীকরণ। ম্যাচটিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলতে পারেননি ভিনিসিয়ুস। নতুন হিসেব নিকেশে কে এগিয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ব্রাজিলের দলগত ব্যর্থতার কারণে দৌড়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়তে পারেন তারকা ফুটবলার ভিনিসিয়াস জুনিয়র। কারণ আগস্টের আগে আর কোনো আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা নেই দলগুলোর। যার ফলে এই দুই টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্সের প্রভাব থাকবে ব্যাপকভাবে।অবশ্য ভিনিসিয়ুস রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ২০২৩-২৪ এ দুর্দান্ত এক মৌসুম কাটিয়েছেন। 

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে খেলেছেন ৩৯ ম্যাচ। নিজে করেছেন ২৪ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ১১টি। তার বড় অর্জন রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়।

ক্লাব পর্যায়ের সাফল্যে বেশ এগিয়ে গেলেও জাতীয় দলের সঙ্গে কোপার ব্যর্থতা কিছুটা হলেও পিছিয়ে দিচ্ছে ভিনিসিয়ুসকে। অবশ্য ভিনিসিয়ুসের পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও তার সতীর্থ জুড বেলিংহাম রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পাশাপাশি দলকে রেখেছেন ইউরো জয়ের দৌড়ে। ২১ বছর বয়সী ইংলিশ মিডফিল্ডার রিয়ালে যোগ দিয়ে প্রথম মৌসুমেই রীতিমতো হইচই ফেলেছেন।

এরইমধ্যে সেমিতে পৌঁছে গেছে ইংলিশরা। ৪২ ম্যাচে ২৩ গোল করেছেন তিনি। অ্যাসিস্ট আছে ১৩টি। তাই ইংল্যান্ড যদি ফাইনালে ওঠে কিংবা শিরোপা জেতে, তাহলে বেশ ভালো সম্ভাবনা রয়েছে তার ব্যালন ডি’অর জেতার।

তালিকায় আছে ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া এই তারকা পেছনে ফেলে দিতে পারেন ভিনিসিয়াস ও বেলিংহামকেও। কারণ তার দলও আছে ইউরোর শিরোপা দৌড়ে। যদি ফ্রান্স শিরোপা জেতে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই এমবাপ্পের সম্ভাবনা অনেকটাই দৃঢ় হবে। গত মৌসুমে পিএসজির হয়ে লিগ জেতার পাশাপাশি খেলেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালেও। প্যারিসের ক্লাবটিতে ৪৮ ম্যাচে করেছেন ৪৪ গোল।

এই তিন তারকা ছাড়াও দৌড়ে আছে লিওনেল মেসি, হ্যারি কেইন, ফিল ফোডেন, টনি ক্রুসদের মতো তারকারা। তবে, তাদের সবাইরই সম্ভবনা থাকছে। তাই কার হতে উঠবে ব্যালন ডি’অরের শিরোপা তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে সমর্থকদের। ১৯৫৬ সাল থেকে ব্যালন ডি’অর দিয়ে আসছে ফ্রেঞ্চ ফুটবল ম্যাগাজিন।