ফাইনালে দায়িত্বে ভারতের ‘অপয়া’ ইংলিশ আম্পায়ার

রিচার্ড কেটলবরো
রিচার্ড কেটলবরো  © সংগৃহীত

আজ অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বহুল কাঙ্ক্ষিত ফাইনাল ম্যাচ। দীর্ঘ একমাসের লড়াই শেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের মঞ্চ প্রস্তুত। ফাইনালে আজ মুখোমুখি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে থার্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকবেন ইংলিশ আম্পায়ার রিচার্ড কেটলবরো। কেটলবরো সবসময়ই ভারতের জন্য খারাপ ভাগ্য নিয়ে এসেছেন। কেটলবরোকে ‘আনলাকি’ বলা হচ্ছে কারণ তার দায়িত্বে পরিচালিত হওয়া নকআউট ম্যাচগুলোর সবগুলোতেই হেরেছে ভারত।

শনিবার (২৮ জুন) বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি। প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকার। অন্যদিকে, ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ভারতের চোখ দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলা। এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারত ফেভারিট হলেও এরই মধ্যে একজন আম্পায়ারকে নিয়ে চিন্তিত ভারত শিবির।

তবে অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে নয়। থার্ড আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন ভারতের ‘আনলাকি’ আম্পায়ার রিচার্ড কেটলবরো। শুরুটা ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালে অনফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন কেটলবরো। হারে ধোনির ইন্ডিয়া। ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের ম্যাচেও কেটলবরো ছিলেন অনফিল্ড আম্পায়ার।

২০১৬ সালে নিজ দেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে বিদায় নেয় কোহলিরা। সেবারও কেটলবরো অন-ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন। এরপর ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত মুখোমুখি হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের। ১৮০ রানের বড় ব্যবধানে হারে তারা।

২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড ১৮ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে ভারতকে। কেটলবরোই ছিলেন থার্ড আম্পায়ার। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে ৬ উইকেটে হারায় অষ্ট্রেলিয়া। রিচার্ড কেটলবরো আবারো দায়িত্বে। প্রত্যেকটি ম্যাচে কেটলবরো দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে এর একটি ম্যাচেও জিততে পারেনি ভারত।

এদিকে, ২০০৭ সালের সুখস্মৃতি বিশ্বকাপের নবম আসরে ফিরিয়ে আনতে চায় ভারত। দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘আমাদের সামনে ২০০৭ সালের সুখস্মৃতি ফিরিয়ে আনার সুবর্ণ সুযোগ। ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি জিততে মুখিয়ে আছে দলের সবাই। ওই আসরের দলে আমি ছিলাম। আশা করছি আবারো শিরোপা জয়ের উৎসবে মেতে উঠতে পারবো আমরা।’

অন্যদিকে, প্রথমবারের মত কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে প্রোটিয়ারা। তাই ভারতকে হারিয়ে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তুলতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপ পর্ব ও সুপার এইট মিলিয়ে মোট ৭ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু সেমিতে উঠলেও চিন্তার ভাঁজ কপালে ছিল প্রোটিয়াদের। কারণ, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে মোট সাতবার বিশ্বকাপের সেমি থেকে বিদায় নিতে হয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

তাই ভারতের সামনে ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের হাতছানি, অন্যদিকে প্রোটিয়াদের সুযোগ প্রথমবার বিশ্বজয়ের খেতাব অর্জন করার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট ৬বার মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। এই মঞ্চেও জয়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার ২ জয়ের বিপরীতে ভারতের জয় ৪টিতে। মুখোমুখি লড়াইয়ের ২০০৭, ২০১০, ২০১২ ও ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ভারত এবং ২০০৯ ও ২০২২ সালের আসরে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।


সর্বশেষ সংবাদ