ফাইনালেও বৃষ্টির শঙ্কা, খেলা না হলে চ্যাম্পিয়ন যারা
আজ পর্দা নামছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। এখন বাকি শিরোপা নির্ধারণী। দীর্ঘ একমাসের লড়াই শেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের মঞ্চ প্রস্তুত। ফাইনালে আজ মুখোমুখি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দুদলই অপরাজিত থেকে এসেছে বিশ্বমঞ্চের ফাইনালে। তাই ফাইনাল জিততে দুই দলই মরিয়া। তবে ফাইনাল ম্যাচেও থাকছে বৃষ্টির শঙ্কা।
শনিবার (২৮ জুন) বার্বাডোজে মেগা ফাইনাল ম্যাচে মাঠে নামবে টুর্নামেন্টের দুই অপরাজিত দল ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ভৌগলিক কারণে বছরের এই সময়ে ঐ অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। তাই বিশ্বকাপের অনেক ম্যাচই বৃষ্টির কারণে বিঘ্নিত হয়েছে। কয়েকটি ম্যাচ তো পরিত্যক্তও হয়েছে। ফাইনাল ম্যাচেও থাকছে বৃষ্টির শঙ্কা।
অ্যাকুওয়েদার অনুযায়ী, খেলার সময় আকাশ মেঘলা থাকবে, বৃষ্টি হতে পারে। বার্বাডোজে খেলা শুরু স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে। কিন্তু রাত ৪টা থেকে ৯টার মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় ৫০ শতাংশ, যেটি সকাল ১০টা (টসের সময়) ও বেলা ১টার মধ্যে নেমে আসবে ৩০ শতাংশে।
খেলাটি শেষ করার জন্য ১৯০ মিনিট অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। বিজয়ী ঘোষণার জন্য উভয় দলকে কমপক্ষে ১০ ওভার ব্যাট করতে হবে। যদিও ম্যাচ খুব বেশি হলে দুপুর পর্যন্ত চলবে। তাই সন্ধ্যায় বৃষ্টি হলে তার প্রভাব ম্যাচে পড়বে না। যদি বৃষ্টিতে ফাইনাল ভেসে যায় তখন রিজার্ভ ডেতে গড়াবে খেলা।
অতিরিক্ত সময়েও কমপক্ষে ১০ ওভার করে ম্যাচ না হলে ম্যাচটি রোববারে যাবে। তবে শনিবার যেখানে শেষ হয়েছিল, সেখান থেকে শুরু হবে। রিজার্ভ ডে-তে ম্যাচ শুরুর নির্ধারিত সময় স্থানীয় সময় সকাল ১০.৩০ মিনিট।
রিজার্ভ ডেতে গিয়ে খেলা শেষ না হলে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকাকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে। ম্যাচ টাই হয়ে যদি সুপার ওভারে গড়ায় এবং আবহাওয়ার কারণে সুপার ওভার না হতে পারে, তাহলেও দুই দলকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে। এখানে আর টুর্নামেন্টের আগের অংশে কোন দল এগিয়ে বা পিছিয়ে ছিল, সেটা দেখা হবে না।
আরও পড়ুন: আজ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম নাকি ভারতের দ্বিতীয়
আইসিসির যেকোনো বিশ্বকাপে এবারই প্রথম ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বারবার সেমিফাইনালে বিদায় নেয়া দলটি এবার দাপট দেখিয়ে ফাইনালে উঠেছে। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে কোনো ম্যাচেই হারেনি তারা। প্রতিপক্ষ ভারতও কম যায় না। এবারের বিশ্বকাপে তারাও কোনো ম্যাচ হারেনি। ভারতের সামনে ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের হাতছানি, অন্যদিকে প্রোটিয়াদের সুযোগ প্রথমবার বিশ্বজয়ের খেতাব অর্জন করার।