২৫ জুন ২০২৪, ০৭:৪৪

বাংলাদেশকে ১১৬ রানের টার্গেট দিল আফগানরা

বাংলাদেশকে ১১৬ রানের টার্গেট দিল আফগানরা  © সংগৃহীত

সুপার এইটের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তান। দলে ফিরেছেন বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। পাশাপাশি নেট রানরেটের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। অন্যদিকে আফগানিস্তানের জন্য এটি বাঁচামরার লড়াই। শেষমেশ বাংলাদেশকে ১১৬ রানের টার্গেট দিয়ে মাঠ ছাড়লো আফগানিস্তান দল। 

মঙ্গলবার (২৫ জুন) হাইভোল্টেজ এই ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬ টায়। প্রথম ১০ ওভার খুব বেশি রান  তুলতে না পারলেও কোনো উইকেট হারায়নি আফগানিস্তান। ১১তম ওভারে গিয়ে প্রথম উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। টাইগারদের প্রথম সাফল্য এনে দেন রিশাদ। জায়গা বানিয়ে তুলে মেরেছিলেন ইব্রাহিম। লং অফ থেকে নিজের বাঁয়ে অনেকটা ছুটে বেশ ভালো ক্যাচ নিয়েছেন তানজিম হাসান। ৫৯ রানে থেমেছে আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটি।

এদিকে, নিজের প্রথম টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজিমাত করলেন রিশাদ হোসেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার এইটের শেষ ম্যাচে তিন উইকেট শিকারের পথে সাকিব আল হাসানের রেকর্ড ভাঙলেন তরুণ লেগ স্পিনার। আসরে ৭ ম্যাচে উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিকারি রিশাদ। সেন্ট ভিনসেন্টে আফগানিস্তান ম্যাচে ৪ ওভারে ২৬ রানে তিন উইকেট নেন। এই ম্যাচে নামার আগে রিশাদ ও তানজিম হাসান সাকিব ১১টি করে উইকেট নিয়ে ছিলেন রেকর্ডের দুয়ারে।

বিশ্বকাপে এক আসরে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করা বোলার এতদিন ছিলেন সাকিব আল হাসান। ২০২১ সালে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়া আসরে ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার। তার আগে ভারতের মাটিতে ২০১৬ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিব নিয়েছিলেন ১০ উইকেট।

এবারের আগে বিশ্বকাপে সাকিব ছাড়া আর কোনো বোলার এক আসরে উইকেট দখলের দিক থেকে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে বাংলাদেশের রিশাদ ছাড়িয়ে গেলেন সাকিবকে।

হাইভোল্টেজ এ ম্যাচের ওপর কার্যত তিনটি দলের ভাগ্য নির্ভর করছে। গত রাতে অস্ট্রেলিয়াকে ২৪ রানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। তবে এখনও এই গ্রুপের বাকি তিন দলের সুযোগ আছে। সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশের জন্য কাজটি বেশ কঠিন। সেমিতে যেতে আফগানদের হারানোর পাশাপাশি নেট রানরেটের দিকেও নজর দিতে হবে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার নেট রানরেট -০.৩৩১। অন্যদিকে বাংলাদেশের নেট রানরেট -২.৪৮৯।

যেহেতু বাংলাদেশ আগে ফিল্ডিং করছে। তাই রান ব্যবধানে জয়ের কোনো হিসাব-নিকাশ আর করতে হচ্ছে না। এখন বল ব্যবধানে জিততে হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। ধরা যাক, বাংলাদেশকে ১৪০ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিলো আফগানরা। তাহলে বাংলাদেশকে সেটি ১২ দশমিক ৩ ওভারেই মধ্যেই পেরোতে হবে। শেষ বলে ছক্কা হাঁকালে অবশ্য ১৩ দশমিক ১ ওভার পর্যন্ত সুযোগ পাবে বাংলাদেশ ।

এদিকে এর চেয়ে কম ব্যবধানে যদি বাংলাদেশ জিতে যায়, তবে সেমির পথ সহজ হবে অজিদের। সহজ করে বললে, অজিদের সেমিতে যেতে বাংলাদেশের জয় প্রয়োজন। তবে তা বড় ব্যবধানে না। অন্যদিকে বাংলাদেশকে হারালেই সেমিতে উঠে যাবে আফগানরা।