আয়রনম্যান প্রতিযোগিতায় ফিলিপিনে দেশের পতাকা উড়ালেন এডিসি মিশু
ফিলিপিনে অনুষ্ঠিত আয়রনম্যান প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের পতাকা উড়ালেন মিশু বিশ্বাস। এক দিনের স্পোর্টিং ইভেন্টগুলোর মধ্যে কঠিনতম প্রতিযোগিতা হিসেবে ধরা হয় এই প্রতিযোগিতাকে। প্রতিযোগিতায় একজন প্রতিযোগিকে ৩.৮ কি.মি. সাঁতার শেষ করে, ১৮০ কি.মি. সাইকেল চালাতে হয় এবং এরপর ৪২.২ কি.মি. ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করতে হয়। এই তিনটা ডিসিপ্লিনে সর্বমোট ২২৬.৩ কি.মি. দূরত্ব বিরতিহীনভাবে কেউ ১৭ ঘণ্টার মধ্যে শেষ করতে পারলে তাকে আয়রনম্যান মেডেল দেয়া হয়।
জানা গেছে, মিশু বিশ্বাস বিসিএস ৩৩তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে ডিএমপির গোয়েন্দা রমনা বিভাগে কর্মরত আছেন। তিনি গত ৭ অক্টোবর মালেশিয়ায় অনুষ্ঠিত আয়রনম্যান ফিলিপিন কৃতিত্বের সাথে ২২৬.৩ কি.মি. দূরত্ব মাত্র ১৪ ঘণ্টা ৩৭ মিনিটে সম্পন্ন করেন। তিনি ৩.৮ কি.মি. সাঁতার শেষ করতে সময় নিয়েছেন ১ ঘণ্টা ৪১ মিনিট, ১৮০.২ কি.মি. সাইকেল শেষ করেছেন ৭ ঘণ্টা ২ মিনিট এবং ৪২.২ কি.মি. ম্যারাথন শেষ করেছেন মাত্র ৫ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটে।
মিশু বিশ্বাস তার ফেসবুকে লেখেন, ‘আয়রনম্যান ফিলিপিন আমার ৫ম পূর্ণ আয়রনম্যান প্রতিযোগিতা। ব্রুটাল বাইক কোর্স, এক্সট্রিম হিট ও প্রচণ্ড ব্যাক পেইন হওয়ায় প্রতিনিয়ত মনের সাথে যুদ্ধ করতে হয়েছে। এতটা স্ট্রাগল আমি আগের কোনো রেসে করিনি, মেন্টাল গেইম এ বারবার পরাস্ত হচ্ছিলাম এবং কন্টিনিউ করার মোটিভেশন হারিয়ে ফেলছিলাম। কিন্তু ফিনিশিং লাইনে দেশের পতাকা তুলে ধরার তীব্র আকাঙ্ক্ষার জন্য শেষ পর্যন্ত নিজেকে হারতে দেইনি।’
আয়রনম্যান ফিলিপিন তার ৫ম পূর্ণ আয়রনম্যান প্রতিযোগিতা। ইতঃপূর্বে মিশু বিশ্বাস আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপসহ আয়রনম্যান ব্রাজিল, আয়রনম্যান মালেশিয়ায় ২ বার ও আয়রনম্যান ৭০.৩ প্রতিযোগিতায় সফলতা অর্জন করেন।
এছাড়াও তিনি ২০২০ সালে বাংলা চ্যানেল সাঁতার কেটে অতিক্রম করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু ম্যারাথন, সিংগাপুর ও থাইল্যান্ড হাফ ম্যারাথন সহ-একাধিক হাফ-ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।