দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততে জিততে হারলো বাংলাদেশ
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নামে বাংলাদেশ। বল হাতে দায়িত্ব সেরেছেন বোলাররা। তানজিম তিনটি, তাসকিন দুটি ও রিশাদ একটি উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৩ অল্প রানেই থামিয়ে দিয়েছে টাইগাররা। কিন্তু ১১৪ রান তাড়ায় নেমে শুরুতে উইকেট হারিয়ে চাপে পরে বাংলাদেশ। টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতায় ম্যাচটা কঠিন করে তোলেন টাইগাররা। প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ও প্রায় ধরা দিচ্ছিল। কিন্তু প্রোটিয়াদের কাছে হেরে গেছে ৪ রানে।
সোমবার (১০ জুন) নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হয় ম্যাচটি। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা।
টাইগার বোলারদের তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ২৩ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। ইনিংসের প্রথম ওভারে রেজা হেনড্রিক্সকে সাজঘরে ফেরান তানজিম সাকিব। এক ওভার পরে আরেক ওপেনার কুইনটন ডি কককে বোল্ড করেন এই তরুণ পেসার। প্রোটিয়াদের পরের আঘাতটা দেন তাসকিন আহমেদ। ৮ বলে ৪ রান করা মারক্রামের স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন এই টাইগার পেসার।
নিজের তৃতীয় ওভারে ক্রিস্টান স্টাবসকে আউটকে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ফেলেন তানজিম সাকিব। ২৩ রানে ৪ রান উইকেট হারায় তারা। এরপর দলের হাল ধরেন ডেভিড মিলার এবং হেইনরিচ ক্লাসেন। দুজনের ব্যাটে ভর করে শুরু ধাক্কা সামলে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। পিচে থিতু হয়েই ছড়ি ঘোরাতে থাকেন ক্লাসেন। ১৮তম ওভারে এই ডান হাতি ব্যাটারকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান তাসকিন।
৪৪ বলে ৪৬ রান করেন ক্লাসেন। পরের ওভারে মিলারকে ফেরান লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ৩৮ বলে ২৮ রান করে এই বাঁহাতি ব্যাটার। ২০তম ওভারে মাত্র৪ রান দেন মোস্তাফিজুর রহমান। এতে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তুলতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের হয়ে তানজিম তিনটি, তাসকিন দুটি ও রিশাদ একটি উইকেট নেন।
বাংলাদেশের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রাবাদাকে দুই বলে টানা দুটি চার হাঁকান তামিম। তবে তার করা ওভারের শেষ বলে উইকেটের পিছে ধরা পড়েন এ ওপেনার। ওপেনিংয়ে নামা তানজিদ হাসান তামিমের পর লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানও ফিরেছেন পাওয়ার প্লে শেষ হতেই। ৪ বলে সাকিবের সংগ্রহ ৩ রান। অষ্টম ওভারে ৩৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় টাইগাররা।
টিকে থাকার অভিপ্রায় দেখিয়েও শেষ পর্যন্ত ইনিংস বড় করতে পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৩ বলে ১৪ রান করে নরকিয়ার বলে বিদায় নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১১ রান। ক্রিজে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলী অনিক। মহারাজা এলেন তার শেষ ওভার করতে। প্রথম বলে ওয়াইড দিলেন। ৪ বলে যখন ৭ দরকার, বিগ শট খেলতে গিয়ে আউট হন অনিক। ২ বলে ৬ রান দরকার। মাহমুদউল্লাহ ক্রিজে। ফুলটস বলে উড়িয়ে মেরেছিলেন কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়লো বল ফিল্ডারের হাতে। বাংলাদেশের জয়ের আশা ওখানেই শেষ হয়ে যায়।
এই জয়ের সুবাদে ৬ পয়েন্ট পেয়ে ‘ডি’ গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে সুপার এইটে উঠে গেলো প্রোটিয়ারা।