বড় জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ পরাজয় নিশ্চিত। বাজে পারফরম্যান্সে লজ্জায় ডোবা বাংলাদেশ অবশেষে ফিরলো স্বরূপে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে শক্তির পার্থক্যটা তারা দেখালো তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে এসে।
হিউস্টনে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ৫০ বল হাতে রেখে জিতেছে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এর ফলে টাইগাররা এড়াল হোয়াইটওয়াশ।
বোলাররা অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১০৫ রানের। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম আর সৌম্য সরকার মিলেই ম্যাচ শেষ করে এসেছেন। মুস্তাফিজের ক্যারিয়ার সেরা ৬ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যান অব দ্যা ম্যাচ।
এ ম্যাচের একাদশে চারটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম সারির ক্রিকেটারদের বসিয়ে দেয় তারা। তবুও শুরুটা ভালো হয় তাদের। প্রথম চার ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৩৫ রান তোলে তারা। পঞ্চম ওভারেও সাকিবকে ছক্কা হাঁকান দলটির ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গীর। সাকিব নিজেই ভাঙেন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বোধনী এই জুটি। আন্দ্রিস গোসকে (২৭) ফিরিয়ে নিজের ৭০০তম উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেন টাইগার এই অলরাউন্ডার।
সাকিবের পরেই উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ ভোগানো শায়ান জাহাঙ্গিরকে তুলে নেন তিনি। জাহাঙ্গির ২০ বলে করেন ১৮ রান। মুস্তাফিজের কিপটে বোলিংয়ের যাত্রায় যোগ দেন রিশাদ হোসেনও। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে মেডেন আদায় করেন রিশাদ। তাদের দুজনের কিপটে বোলিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চেপে ধরে বাংলাদেশ।
মুস্তাফিজ সফল হন নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসেও। এ ওভারে ১ রান খরচায় তিনি তুলে নেন নিতিশ কুমারের উইকেট। নিতিশ ৯ বলে করেন ৩ রান। প্রথম ২ ওভারে ১৯ রান খরচ করা তানজিম সাকিব শিকার করেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অ্যারন জোনসের উইকেট। জোনস ২ রান করে ক্যাচ দেন রিশাদ হোসেনের হাতে।
পরের ৪ ওভারে ৮ রানে যুক্তরাষ্ট্র উইকেট হারায় ৩টি। দশম ওভারে মুস্তাফিজ পান নিজের ৩য় উইকেট। এরপর তানজিম সাকিবের হাত থেকে আসে আরেকটি উইকেট মেইডেনের ওভার।
কোরি অ্যান্ডারসনের ১৮ বলে ১৮ আর শ্যাডলি ভ্যান শ্যালউইকের ১৭ বলে ১২ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ১০০ রান পেরুনোর পুঁজি। তাদের দুজনকেই ফেরান ফিজ। শেষ ওভারে জাসদ্বীপ সিং এবং নিসর্গ প্যাটেলের উইকেট নিয়ে ৬ উইকেট পূরণ করেন মুস্তাফিজ।