২০ মে ২০২৪, ১৩:৫৪

বেঙ্গালুরুর জার্সি এখনো ফিট হয়, আমি ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হতেই পারি: গেইল

বেঙ্গালুরুর ড্রেসিংরুমে কোহলির সঙ্গে গেইল  © সংগৃহীত

ক্রিকেটকে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়মটার সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড-বিসিসিআই। দেশটির ঘরোয়া টুর্নামেন্ট মুশতাক আলি ট্রফিতে তারা এই নিয়ম চালু করে। এবার আইপিএলেও দেখা গেছে সেটি। তবে এবার ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে বেঙ্গালুরুর জার্সি গায়ে মাঠে নামতে চান গেইল। মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাচটি ২৭ রানে জিতে আইপিএলের প্লে-অফ পর্বে উঠেছে বেঙ্গালুরু। আরসিবির প্লে অফে ওঠার জন্য গেইলও সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন।

ম্যাচ শেষে কোহলি-ডু প্লেসি-কার্তিকদের অভিনন্দন জানাতে বেঙ্গালুরুর ড্রেসিংরুমে গিয়েছিলেন গেইল। কোহলিতো বুকে জড়িয়ে নিলেন সাবেক এই সতীর্থ। পেসার মোহাম্মদ সিরাজতো মাঠ থেকেই দিলেন স্যালুট, ছুঁড়লেন উড়ন্ত চুমু। 

আরসিবির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হ্যান্ডেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৪৪ বছর বয়সী গেইল মজা করেই বললেন, আরসিবির হয়ে আবার মাঠে নামার কথা। গায়ের জার্সিটা ফিট হয়েছে, চাইলে তাকে নাকি ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে নামাতে পারে ব্যাঙ্গালুরু। 
তিনি বলেন, 'আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন জার্সি এখনো ফিট আছে। আরসিবির যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমি ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হতেই পারি। সমর্থকদের এভাবে দেখাটা দারুণ। আরসিবি চিরকাল, আমি আজীবন আরসিবির সমর্থক থাকব।’

‘ইউনিভার্স বস’ গেইলকে শেষবার আইপিএলে খেলতে দেখা গেছে ২০২১ সালে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ইমপ্যাক্ট–সাবের আবির্ভাব হয়েছে ২০২৩ সালে। দলগুলো চাইলে ম্যাচের ভেতরে একজন খেলোয়াড় বদলি করতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফিল্ডিংয়ের পর ব্যাটিংয়ের সময় একজন ব্যাটসম্যানকে ইমপ্যাক্ট–সাব করতে দেখা যায়। এই নিয়মের কারণে একজন খেলোয়াড় ফিল্ডিং, ব্যাটিং, বোলিং—সবই ভালো মানের হওয়া আবশ্যক নয়। ব্যাটিং ভালো করলেই ম্যাচ খেলা যায়।

এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামেই ২০১৩ আইপিএলে পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার বিপক্ষে ১৩ চার ও ১৭ ছক্কায় ৬৬ বলে ১৭৫ রানের অনবদ্য ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন গেইল, যা এখনো স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ড হিসেবে টিকে আছে। এ ছাড়া এ মাঠে আরও কয়েকটি চোখধাঁধানো ইনিংস খেলেছেন গেইল।

দীর্ঘদিন পর স্মৃতিবিজড়িত মাঠে ফিরতে পেরে আনন্দিত ৪৪ বছর বয়সী ক্যারিবীয় তারকা, ‘এখানে আমার অনেক মজার স্মৃতি আছে। ফিরতে পেরে ভালোই লাগছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এমন সমর্থকদের দেখতে পারা দারুণ ব্যাপার। আমার কাছে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আসতে পারা বিশেষ ব্যাপার।’