শেষ ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেল জিম্বাবুয়ে
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-২০তে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে তবু লড়াই করেছিল উদ্বোধনি জুটি। আজ পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে সেটাও দেখা গেল না। চট্টগ্রাম পর্বেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। তবে আজ শেষ ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেল জিম্বাবুয়ে। এই জয়ে ৪-১ ব্যবধান শেষ হলো পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
রোববার (১২ মে) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের টসে জিতে ফিলডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করেছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই বাজে হয় বাংলাদেশের। স্রেফ ১৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। শুরুটা হয় দ্বিতীয় ওভারে তানজিদ হাসান তামিমকে দিয়ে। ব্লেসিং মুজারাবানির বাউন্সার পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ দেন তিনি। ৫ বলে ২ রান করেন তিনি।
ইনিংসের শুরুর দিকে ছক্কা হাঁকালেও সেটি বড় করতে পারেননি আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন তিনি, এর আগে ৭ বল খেলে করেন ৭ রান। তিনে খেলতে নেমে ৬ বলে স্রেফ এক রান করে আউট হন তাওহীদ হৃদয়। ব্রায়ান বেনেটের বল ঠিকঠাক বুঝতে পারেননি, তার ব্যাট ছুঁয়ে বল যায় ক্লাইভ মাদানদের হাতে।
তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়া দলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনের জুটিতে ৪৫ বলে আসে ৬৯ রান। এই জুটি ভাঙেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৬ রান করে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন শান্ত।
এই জুটি ভাঙার পর রিয়াদের সঙ্গী হন সাকিব আল হাসান। ১৭ বলে ২১ রান করা সাকিবকে ফেরান লুক জংওয়ে। তবে আরেক প্রান্তে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইনিংসের ১৬তম ওভারে এসে ক্যারিয়ারের অষ্টম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটি তুলে নেন তিনি।
যদিও খুব বেশি দূর যেতে পারেননি এরপর। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৪ বলে ৫৪ রান করে মুজারাবানির বলে আউট হন তিনি। শেষদিকে দলের রানকে দেড়শ ছাড়িয়ে নিয়ে যান জাকের। ২ ছক্কা ও ১ চারে ১১ বলে অপরাজিত ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিনি।
সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্রায়ান বেনেটের ব্যাটিং তান্ডবে ৯ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের জয় পায় জিম্বাবুয়ে। টাইগার বোলারদের সামনে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন বেনেট। ৩৬ বলে এই মাইলফলক পূর্ণ করেন তিনি। তাকে থামান সাইফউদ্দিন। তার শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েন এই ওপেনার। ফেরার আগে খেলেন ৪৯ বলে ৭০ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
এরপর দলপতি রাজা তার ৪৬ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ৯ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। এই জয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ালো জিম্বাবুয়ে।