১০ মে ২০২৪, ২১:৫৩

চতুর্থ ম্যাচেও টাইগারদের বিপক্ষে জয়ের দেখা পায়নি জিম্বাবুয়ে

জয়ের পর বাংলাদেশ দল  © সংগৃহীত

টানা চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতেও টাইগারদের বিপক্ষে জয়ের দেখা পায়নি জিম্বাবুয়ে। চতুর্থ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে প্রায় হারতেই বসেছিল বাংলাদেশ। মান বাঁচালেন বোলাররা। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ ওভারে ৫ রানে জিতলো বাংলাদেশ।

শেষ ২ ওভারে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল মোটে ২১ রান। ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান দারুণ বোলিং করে মাত্র ৭ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। শেষ ওভারে দরকার ১৪। পেসারদের কোটা শেষ। সাকিব আল হাসানের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

সাকিবের প্রথম বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লংঅনে ক্যাচ দিয়েছিলেন ওয়েলিংটন মাসাদাকাদজা। আগের ওভারেই দারুণ এক ক্যাচ নেওয়া তানজিদ তামিম ফেলে দেন এবার। পরের বলে মুজারবানি রান নিতে না পারলেও তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন।

৩ বলে দরকার ৭। হাতে ২ উইকেট। জিম্বাবুয়ের তখনও জেতার সুযোগ ছিল। তবে সাকিব নিজের মেধার সবটুকু খাটিয়েই যেন হারিয়ে দিলেন প্রতিপক্ষকে। চতুর্থ বলে মুজারবানির মুভমেন্ট দেখে অফসাইডে ওয়াইড দেন সাকিব। এগিয়ে আসা মুজারবানি হন স্টাম্পিং। পরের বলেই রিচার্ড এনগারাভাকে বোল্ড করে দলকে জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৪৪ রানের। ছোট পুঁজি নিয়ে প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। তার শর্ট ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে মিডঅনে সাকিবের দুর্দান্ত নিচু ক্যাচ হন ব্রায়ান বেনেট (০)।

মারমুখী শুরু করেছিলেন সিকান্দার রাজা। তাকেও দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন তাসকিন। ১০ বলে ১৭ করে ফেরেন জিম্বাবুইয়ান অধিানয়ক।

এরপর সাকিবের আঘাত। তানিওয়াশে মারুমানিকে(১৩ বলে ১৪) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে।

সেখান থেকে ক্লাইভ মাদান্দে আর জোনাথান ক্যাম্পবেলের প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা। ইনিংসের দশম ওভারে সেই জুটিটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। তার ঘূর্ণি বলে রিভার্স খেলতে গিয়ে মিস করে এলবিডব্লিউ হন মাদান্দে (১৮ বলে ১২)।

তার এক বল আগেই আউট হতে পারতেন ক্যাম্পবেল। ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন তাওহিদ হৃদয়। পরের ওভারে আরও এক ড্রপ। এবার তানজিম সাকিবের বলে সোজা আকাশে তুলে দিয়েছিলেন রায়ান বার্ল। কিন্তু দৌড়ে গিয়ে জাকের আলী ক্যাচটা গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি।

৫৭ রানে জিম্বাবুয়ের ৪ উইকেট তুলে নিয়েও স্বস্তিতে ছিল না বাংলাদেশ। জীবন পেয়ে পঞ্চম উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেল আর রায়ান বার্ল গড়েন ৩০ বলে ৩৫ রানের জুটি। অবশেষে দলীয় ৯২ রানে এই জুটিটি ভাঙেন মোস্তাফিজুর রহমান।

১৫তম ওভারে জোড়া শিকার করেন কাটার মাস্টার। বার্ল (২০ বলে ১৯) বড় শট খেলতে গেলে মিডঅনে দারুণ ডাইভিং ক্যাচ নেন সৌম্য সরকার। লুক জঙউই (১) ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন রিশাদের হাতে। একশর আগে (৯৪) রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে পড়ে জিম্বাবুয়ে।

তবে ক্যাম্পবেল একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন। ২৭ বলে ৩১ করে তিনি শেষ পর্যন্ত হন সাকিবের শিকার। জিম্বাবুয়ের সব আশা ভরসা শেষ হয়ে যায় তাতেই। সাকিব ৩৫ রানে দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার মোস্তাফিজের।

এর আগে, শতরানের ওপেনিং জুটির পর নাটকীয় ব্যাটিং ধসে ৪২ রানে ১০টি উইকেট হারায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। স্বাগতিক দল ১৯.৫ ওভারে অলআউট হয় ১৪৩ রানে।