স্ট্রাইক রেটে শান্তর নিচে আছেন কেবল উগান্ডার অধিনায়ক
আগামী ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসছে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। প্রথমবার ২০ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চার-ছক্কার এই টুর্নামেন্ট। চার গ্রুপে ভাগ হয়ে মোট ২০টি দল লড়াই করবে শিরোপার জন্য। যেখানে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো অংশ নিবে পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডা। উগান্ডা সুযোগ পাওয়াতে বড় লজ্জা থেকে রক্ষা পেল বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
এবারের টি-টেয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে চলা ২০ দলের অধিনায়কদের মধ্যে ব্যাট হাতে সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেটের তালিকায় ১৯ নম্বরে আছেন বাংলাদেশের নাজমুল হাসান। টি-টোয়েন্টিতে টাইগার অধিনায়ক মাসাবার স্ট্রাইক রেট ১১১.০৬। তার নিচে আছেন শুধু উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। তার স্ট্রাইক রেট ১০৭.৯৪।
মাসাবা না থাকলে হয়তো তালিকার সবার তলানীতে থাকা লাগতো শান্তর। সেদিক থেকে বলা যায়, উগান্ডার অধিনায়ক বড় লজ্জা থেকেই বাঁচিয়েছে বাংলাদেশের অধিনায়ককে। উগান্ডার পরিবর্তে জিম্বাবুয়ে যদি সুযোগ পেতো তাহলে সবার তলানীতেই থাকা লাগতো বাংলাদেশ অধিনায়কের।
আফ্রিকান অঞ্চলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে জিম্বাবুয়েকেই সবাই ফেবারিট ভেবেছিলেন। কিন্তু বাছাইপর্বে ফেভারিট জিম্বাবুয়েকে হারিয়েই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বেও জায়গা করে নেয়।
যদি উগান্ডার জায়গায় জিম্বাবুয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করত, তাহলে অধিনায়কদের মধ্যে স্ট্রাইক রেটে তলানিতে পড়ে থাকতেন শান্ত। কারণ, জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সিকান্দার রাজার স্ট্রাইক রেট ১৩৩.৭৮, যা শান্তর চেয়ে অনেক বেশি।
বিশ্বকাপে যে ২০টি দল অংশ নিবে সেই ২০ টি দলের অধিনায়কদের মধ্যে স্ট্রাইক রেট বিবেচনায় সবার উপরে আছেন এইডেন মার্করাম। প্রোটিয়া অধিনায়ক ব্যাট করেন ১৫০.৬৭। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটে কোহলির স্ট্রাইক রেট ১৩৮.১৬ আর বাবর আজমের স্ট্রাইক রেট ১২৯.৪২।
আরও পড়ুন: দেখে নিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলগুলোর স্কোয়াড ও পূর্ণাঙ্গ সূচি
নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে উগান্ডার বিপক্ষে একবারই খেলেছে টিম বাংলাদেশ। সেটিও ২০০৭ সালে, কেনিয়ার মাটিতে। সেবার আশরাফুলের অধিনায়কত্বে পূর্ব আফ্রিকার দেশটিকে ২১ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর আর উগান্ডার বিপক্ষে খেলা হয়নি লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। সেই দলের কেউই এখন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে নেই, এমনকি অনেক ক্রিকেটারই অবসর নিয়ে ফেলেছে।
পহেলা জুন বিশ্বকাপ শুরু হলেও বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৭ তারিখ। ‘ডি’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ তাদের ৪টি ম্যাচের দুটি খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর অন্য দুটি খেলবে যুক্তরাষ্ট্রে।