চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেই মেসির গোল, তবু জেতেনি মায়ামি
বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি পেশিতে চোটে পড়ায় প্রায় একমাস ধরে মাঠের বাইরে ছিলেন। এ সময়ের মধ্যে মায়ামির জার্সিতে তিনি খেলেননি ৪টি ম্যাচ। তবে আজ চোট কাটিয়ে মেসি মাঠে নামতেই বদলে গেছে ম্যাচের দৃশ্যপট। ৫৭ মিনিটে গোল করলেও জেতেনি মায়ামি। ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।
রোববার (৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় মেজর লিগ সকারের ম্যাচে (এমএলএসে) কলোরাডোর মুখোমুখি হয়েছিল মায়ামি। আজ মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) কলোরাডোর বিপক্ষে আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে পাওয়া গেল ৪৫ মিনিটের জন্য। আর মেসি নামতেই বদলে গেছে ম্যাচের দৃশ্যপট।
মাঠে নামার ১২ মিনিটের মধ্যে গোল করে পিছিয়ে থাকা মায়ামিকে সমতাতেও ফেরান মেসি। তবে মেসির গোলের পরও ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মায়ামিকে। শুধু মেসিই নন, সের্হিও বুসকেতস এবং জর্দি আলবাকেও বেঞ্চে রেখে শুরু করে মায়ামি।
মায়ামির বিপক্ষে প্রথমার্ধে বেশ ভালোই খেলে কলোরাডো। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোলও আদায় করে নেয় তারা। পিছিয়ে পড়া দলকে খেলায় ফেরাতে বিরতির পরপরই মেসিকে নামায় মায়ামি। মাঠে নেমেই দলকে দারুণভাবে উজ্জীবিত করে তোলেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা। এরপর ৫৭ মিনিটে গোল করে দলকে সমতাতেও ফেরান মেসি।
ফ্রাঙ্কো নেগরির কাছ থেকে নিচু এক ক্রস পেয়ে শট নেন মেসি। বল পোস্টে লেগে জালে জড়ায়, ইন্টার মায়ামি ফিরে আসে ম্যাচে। মেসির গোলের পর উজ্জীবিত মায়ামির এগিয়ে যেতে সময় লাগে ৩ মিনিট। এই গোলেও ছিল মেসির অবদান। তাঁর তৈরি করা আক্রমণ থেকেই ডেভিড রুইজের পাসে গোল করেন লিওনার্দো আফোনসো।
এর মধ্যে অবশ্য ম্যাচের শেষ মুহূর্তে কোল বাসেতের গোলে সমতা ফেরায় কলোরাডো। এই গোলেই মূলত জয়বঞ্চিত হয় মায়ামি। এ ড্রয়ের পর এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে মায়ামি। ৮ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১২।
প্রসঙ্গত, ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ফরোয়ার্ডকে ছাড়া আর্জেন্টিনার সমস্যা না হলেও বেশ ভুগতে হয়েছে মায়ামিকে। মেসিকে ছাড়া সবশেষ চার ম্যাচের কোনোটিতেই জয়ের স্বাদ পায়নি দলটি। গত বৃহস্পতিবার কনকাকাফ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে মেক্সিকান ক্লাব মোন্টেরেরির কাছে ২-১ গোলে হারে মায়ামি। সেই ম্যাচে দলকে সমর্থন জোগাতে গ্যালারিতে হাজির হয়েছিলেন মেসি।