২৪ মার্চ ২০২৪, ০৮:২০
'বিস্ময়বালক' এন্দরিকের গোলে ইংল্যান্ডেকে কাঁদিয়ে ব্রাজিলের জয়
প্রথমবারের মতো দরিভাল জুনিয়রের অধীনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ভিনিসিউস-রদ্রিগো-রাফিনিয়াদের চেষ্টায় কিছুতেই গোল আসছিল না গোল। কিন্তু বদলি নেমে ভাগ্য গড়ে দিলেন বিস্ময়বালক এন্দরিক। এন্দরিকের রোমাঞ্চকর গোলে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে হারালো ব্রাজিল। ‘বিস্ময়বালক’ পরিচিতি পাওয়া এই ফরোয়ার্ড আজ নিয়ে তৃতীয়বার ব্রাজিলের জার্সিতে খেলতে নেমেছিলেন, ওয়েম্বলিতে প্রথমবার।
শনিবার (২৩ মার্চ) ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ১৭ বছর ৮ মাস ২ দিন বয়সী এন্দরিকের একমাত্র গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারালো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
২০০৯ সালের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই ব্রাজিলের প্রথম জয়। প্রায় ১৫ বছর আগের জয়টাও এসেছিল ১–০ ব্যবধানে, আজকের মতো সেটাও ছিল আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ।
এদিন গোলের ভা’লো সুযোগ পায় ব্রাজিল। ১২ মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে বল পেয়ে দারুণ বল বড়িয়েছিলেন পাকেতা। সামনে একা গোলরক্ষককে পেয়েও দুর্বল ফ্লিক করেন ভিনিসিউস। গোলরক্ষক পিকফোর্ডকে ফাঁকি দিলেও গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করেন ওয়াকার। ১৬ মিনিটে ফের সুযোগ মিস করেন ভিনিসিউস। রদ্রিগো দারুণ বল বাড়ালেও শট নেয়ার আগে পড়ে যান তিনি।
২১ ও ২২ মিনিটে দুবার ফ্রিকিক পায় ইংল্যান্ড। এর মধ্যে দ্বিতীয়টি ছিল বিপজ্জনক জায়গায়। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি ইংল্যান্ড। ২৭ মিনিটে ব্রাজিলের ডি-বক্সে ওয়েন্ডেল ফিল ফোডেনকে ফেলে দিলেও পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি রেফারি।
৩৩ মিনিটে ভিনিসিউস-রদ্রিগো-পাকেতা ত্রয়ী বুদ্ধিদীপ্ত গেম প্লের মাধ্যমে আক্রমণে ওঠে। পাকেতা নিখুঁত ফ্লিকে বল দেন রদ্রিগোকে। কিন্তু তিনি ঠিকমতো শট নিতে পারেননি। ৩৫ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল ব্রাজিল। ডি-বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া পাকেতার শট শেষ পর্যন্ত গোলপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম আক্রমণ শানায় ইংল্যান্ড। তবে ফোডেনের হেড কর্নারের বিনিময়ে ফেরান বেনতো। কর্নার থেকে ফিরতি আক্রমণে ম্যাগুয়ের হেড নিলেও কাজ হয়নি। পরের মিনিটে ফের আক্রমণ করে ইংল্যান্ড। এবার গর্ডনের শট ঠেকিয়ে দেন বেনতো।
৬২ মিনিটে সংঘবদ্ধ আক্রমন চালায় ব্রাজিল। তার এক পর্যায়ে গুইমিরেস বল বাড়ান পাকেতাকে। তার শট অবশ্য লক্ষ্যে থাকেনি। ৬৪ মিনিটে চোট পান বেলিংহ্যাম। সতীর্থের উঁচু করে বাড়ানো ক্রসে হেড নিতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেরে ওঠেন তিনি।
৭৯ মিনিটে ডেড লোক ভাঙে ব্রাজিল। মাঝমাঠ থেকে ইংল্যান্ডের ভুলে বল পায় ব্রাজিল। অফসাইড ট্র্যাপ ভেঙে বল ধরেন ভিনিসিউস। ডি-বক্সের ভেতরে তার শট ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়ের পায়ে বাধা পেয়ে মাত্রই মিনিট আষ্টেক আগে বদলি নামা এন্দরিকের পায়ে যায়। আলতো টোকায় বল জালে পাঠান এন্দরিক। ব্রাজিলের জার্সিতে তৃতীয় ম্যাচেই গোলের দেখা পেলেন এই বিস্ময়বালক।
অথচ এ ম্যাচে ইংল্যান্ডকেই ফেবারিট ভাবা হচ্ছিল। ইংলিশরা ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ব্রাজিলিয়ানদের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে, সর্বশেষ ১০ ম্যাচে ছিল অপরাজিত, খেলাটাও তাদের ঘরের মাঠে। এর সঙ্গে বাড়তি সুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ব্রাজিলের মূল দলের অন্তত ৬ খেলোয়াড়ের চোট।