ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সিরিজ হারল বাংলাদেশ
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলংকার সাত উইকেটে ১৭৪ রান সংগ্রহের জবাবে ১৯.৪ ওভারে ১৪৬ রানে গুটিয়ে ২৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটিতে উভয় একটি করে ম্যাচ জেতায় এটি ছিল দুই দলের জন্যই সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। তাই বাংলাদেশ হারায় ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে লংকানরা।
১৭৪ রানের লক্ষ্য তারা করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ অপেক্ষায় ছিল বড় হারের জন্য। তবে রিশাদ, শেখ মেহেদি ও তাসকিনের ওপর ভর করে বড় হার এড়ায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুতেই মাত্র ৭ রানে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। নিজের প্রথম ওভারে আক্রমণে এসেই মেইডেনসহ হ্যাটট্রিকের দেখা পান থুসারা। ওভারের দ্বিতীয় বলে শান্তকে বোল্ড করে শুরু। পরের বলে বোল্ড হন তাওহীদ হৃদয়। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে হ্যাটট্রিকের সঙ্গে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন থুসারা। নিজের পরের ওভারে সৌম্যকে বোল্ড করেন এ পেসার।
আক্রমণে এসে উইকেটে দেখা পান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও। তার বলে সাজঘরে ফেরেন জাকের আলী। ৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে অল্পেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে টাইগাররা। এ অবস্থায় সপ্তম উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়েন মেহেদী হাসান ও রিশাদ হোসেন।
ব্যক্তিগত ১৯ রানে মেহেদী ফেরেন। সতীর্থদের ব্যর্থতার দিনে দলকে আশার আলো দেখান রিশাদ। একের পর এক বল বাউন্ডারির বাইরে ফেলতে থাকেন তিনি। সেই সুবাদে ২৬ বলে পেয়ে যান ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির দেখা। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন এই লেগস্পিনার। তবে দলকে জেতানোর মত পর্যাপ্ত সময় হাতে ছিল না রিশাদের।
লড়াই চালিয়ে যাওয়া রিশাদ বড় শট খেলতে গিয়ে ৫৩ রানে আউট হয়েছেন। তাতে নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের হারও। তার বিদায়ের পর শেষ চেষ্টা করেন তাসকিন আহমেদ। তবে এ পেসারের ২১ বলে ৩১ রানের ক্যামিও দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ব্যাটাররা ব্যর্থ হওয়ায়, শেষের ঝড়টাও টাইগারদের দিতে পারেনি জয়ের সুবাস।