মেসির সাথে আবারও খেলতে চান নেইমার
দুই দেশের দুই সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি ও নেইমার। বার্সেলোনায় প্রথম জুটি গড়েন মেসি-নেইমার। অল্প সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ফুটবলে নিজেদের দাপট প্রতিষ্ঠা করেন তাঁরা। এরপর একই সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ক্লাব পিএসজিতেও খেলেছেন। পরবর্তীতে দুজনের পথ দুটো ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। নেইমার চলে যান সৌদি লিগে আর মেসি যুক্তরাষ্ট্রে। তবে সাবেক সতীর্থ মেসিকে ভুলতে পারেননি নেইমার। ভবিষ্যতে আবারও একই দলের হয়ে মাঠ মাতানোর সম্ভাবনা দেখছেন নেইমার।
সোমবার (৪ মার্চ) জনপ্রিয় ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেইমার বলেছেন, ‘আশা করি হয়তো আবার আমরা একসঙ্গে খেলব। লিও খুবই ভালো মানুষ। ফুটবলের সবাই তাকে চেনে। মনে করি মায়ামিতে ভালো আছে। খুশি আছে। সে খুশি থাকলে আমিও খুশি।’
ব্রাজিলের কোনো ক্লাবের হয়ে খেলে অবসর নিতে চান কিনা এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে খেলার আগ্রহের কথা জানান ৩২ বছর বয়সী নেইমার। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি ঠিক জানি না। যদিও এ বিষয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এটা জানি না যে আবার কখনও ব্রাজিলে খেলব কিনা। আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্রে খেলতে ভালো লাগবে। অন্তত একটি মৌসুম।’
নেইমারের এমন মন্তব্যের পর ভক্তরা অনেকেই তাকে মায়ামিতে দেখতে শুরু করেছেন। আর যদি সত্যিই এমনটা হয় তবে মেসি, নেইমার ও সুয়ারেজ ত্রয়ীকে ফের একসঙ্গে মাঠ মাতাতে দেখা যাবে। বার্সেলোনায় একসঙ্গে টানা ছয় মৌসুম কাটিয়েছেন মেসি ও নেইমার। সেখানে তাদের সঙ্গে খেলেছিলেন সার্জিও বুসকেটস, জর্ডি আলবা ও লুইস সুয়ারেজ। তারা সবাই এখন মায়ামির জার্সিতে খেলছেন।
২০১৩ থেকে চার বছর মেসির সাথে বার্সেলোনার হয়ে মাঠ মাতান নেইমার। এরপর তিনি যোগ দেন ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে। ২০২১ সালে নানা নাটকীয়তায় বার্সা ছাড়তে বাধ্য হন এলএমটেন। সেই বছরে আবারও প্যারিসে প্রিয় বন্ধুর সাথে জুটি বাঁধেন এলএমটেন। একসঙ্গে পিএসজি’তে খেলেন দুই বছর।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার জালে পাঁচ গোল ব্রাজিলের
প্রায় একই সময়ে ইউরোপের ফুটবলকে বিদায় বলে দেন মেসি-নেইমার। গত বছরের জুলাইয়ে মেসি যোগ দেন মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে। আর নেইমার গত আগস্টে নাম লেখান সৌদি প্রো লিগের দল আল হিলালে।
ফুটবলে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার কথা বললে সবার আগে দ্বৈরথ, উত্তাপ, রোমাঞ্চ এই শব্দগুলোই যেন ঘুরেফিরে আসে। এই দুই দলের খেলায় পৃথিবী দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এদের ম্যাচ ঘিরে মারামারি, হাতাহাতি থেকে শুরু করে খুনোখুনি পর্যন্তও হতে পারে। সমর্থকেরা নিজেদের মধ্যে যতই মারামারি-হানাহানি করুক, মেসি-নেইমার একে অন্যকে ভাবেন ভাই ও বন্ধু।