পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যা জানালেন আফ্রিদি
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের পর সরকার গঠন নিয়ে চলছে নানা আলোচনা—সমালোচনা। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো এখনো কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি। নিজের দেশের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে চলমান সমস্যা সমাধানে সব পক্ষকে একসঙ্গে বসার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি।
আফ্রিদি পাকিস্তানের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘প্রতিদিন প্রায় একই গল্প শুনতে শুনতে মানুষ বিরক্ত। অথচ দেশের প্রধান সমস্যা মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব।’
এরপরই তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে নিজের দাবি জানিয়ে লেখেন, ‘আইনপ্রণেতাদের কাছে আবেদন–আপনারা সবাই একসঙ্গে বসে দেশকে চলমান অস্বস্তি থেকে রক্ষা করুন। এটি ইতোমধ্যে বর্তমানে বড় দৃশ্যে পরিণত হয়েছে। এর বেশি আঘাত আর দেশ সইতে পারবে না। আল্লাহর ওয়াস্তে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ও দেশের স্বার্থে আপনারা ঐক্যবদ্ধ হন।’
এর আগেও শহীদ আফ্রিদি ২০২২ সালের মার্চে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, রাজনীতি আর ক্রিকেট খেলা এক নয়। দুইয়ের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। এদেশে ভালো-মন্দ দুই ধরনেরই মানুষ রয়েছে। সেটা বিরোধী ও ক্ষমতাসীন দলেও। তবে প্রত্যেকে খারাপ নয়। সবাইকে নিয়েই আপনাকে কাজ করতে হবে। সবার জন্যই এই পাকিস্তান।
দেশটিতে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশে সময় লাগে তিন দিন। কিন্তু দেখা যায়, এককভাবে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এমনকি নির্বাচন পরবর্তী জোট গঠন নিয়েও জটিল পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। কোনো দলই ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারছে না।
তাছাড়া বড় ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে এখনও বিক্ষোভ করছে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ তথা পিটিআই। দলটির দাবি তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা ১৫০টির বেশি আসনে জয় পেলেও তা কারচুপি করে ৯২টি করে দেওয়া হয়েছে। ফলে জোট গঠন করে কারা দেশটিতে নতুন সরকার গঠন করবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এর মধ্যে গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলী চাতা তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান। পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে দাবি করে তিনি তার পদ থেকে ইস্তফা দেন।