সাকিবের রংপুরকে হারিয়ে তামিমের বরিশালের শুভসূচনা
তামিমের ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি সাকিবের রংপুর রাইডার্স। তামিম-সাকিবের কারণে মিরপুরে ম্যাচটি ঘিরে শুরু হয়েছিল বাড়তি উন্মাদনা। দুজনের দ্বৈরথ দেখার প্রত্যাশায় গ্যালারিতে ঢল নেমেছিল দর্শকের। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর। এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটের জয় পায় তামিমের বরিশাল।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় রংপুর। ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ ইরফান। খালেদ আহমেদ ও মেহেদী মিরাজদের বোলিং তোপে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর। জবাবে ১৯.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বরিশাল।
দলীয় ৩১ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে সাকিবরা। প্রথম বলে উইকেট হারালেও পরের ৫ বলে ১৩ রান তুলে পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার চেষ্টা চালায় রংপুর। এরপর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও শামিম পাটোয়ারি মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৬৫ রানে অধিনায়ক নুরুল হাসন আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ২৩ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সোহান।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রংপুর। শেষ পর্যন্ত মেহেদি হাসান ও শামিমের ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান সংগ্রহ করে রংপুর। শামিম ৩৩ বলে ৩৪ ও মেহেদি ১৯ বলে ২৯ রান করেন। বরিশালের হয়ে বল হাতে খালেদ আহমেদ নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট।
১৩৫ রানের সহজ লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ঝোড়ো সূচনা পায় বরিশাল। ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ২৪ বলে ৩৫ রান করেন তামিম ইকবাল। আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে ১২ রানে শিকার করেন সাকিব আল হাসান। দলীয় ৬৭ রানের মাথায় মাত্র ১ রানে সাজঘরে ফেরত যান সৌম্য সরকার। তামিম ও সৌম্য দ্রুত ফিরলে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ২৭ রানের জুটি গড়েন মেহেদি হাসান মিরাজ।
দলীয় ৯৪ রানের মাথায় হাসান মুরাদকে স্লগ সুইপে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে কিংয়ের হাতে ক্যাচ দেন মিরাজ। ১৮ বলে ২০ রানে আউট হন এই অলরাউন্ডার। ১১৩ রানের সময় সাকিবকে চার মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরে যান অভিজ্ঞ মুশফিকও। তবে বরিশালের বাকি পথটুক পাড়ি দেন দুই অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৩ রান দরকার পরে বরিশালের। প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তামিম-মাহমুউল্লাহরা। ১১ বলে ২ ছক্কায় ১৯ রানে মাহমুদউল্লাহ এবং ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন শোয়েব মালিক। সাকিব ও হাসান মুরাদ প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
এই ম্যাচ দিয়েই লম্বা সময় পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরছেন তামিম। সাকিবও প্রথম ম্যাচ খেলবেন বিশ্বকাপের পর। বিশ্বকাপ থেকে তিনিও ভুগছিলেন আঙুলের চোটে। ছিলেন না নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরে এবং ঘরের বাইরের দুই সিরিজে।