আইপিএলে নেই বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার
কোনো দ্বিধা ছাড়াই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেট দুনিয়ার সবচেয়ে জমজমাট ও জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট। আইপিএলের গত আসরে দুই দলে বাংলাদেশ থেকে তিনজন ক্রিকেটার ছিলেন। আসন্ন আসরের ড্রাফটের আগে তিনজনকেই ছেড়ে দিলো তারা। কলকাতা নাইট রাইডার্স সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস ও দিল্লি ক্যাপিটালস মোস্তাফিজুর রহমানকে ছেড়ে দিয়েছে।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) আইপিএলে দলগুলোর খেলোয়াড় ধরে রাখার শেষ দিন ছিল। এ দিনই ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো আইপিএল দলগুলোর ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করে। বাংলাদেশি তিন ক্রিকেটার; সাকিব আল হাসান, লিটন দাস ও মুস্তাফিজুর রহমান– যারা গত আসরে আইপিএলে সুযোগ পেয়েছিলেন, এবার আর তাঁদের ধরে রাখেনি পুরোনো দলগুলো।
আসন্ন ছোট নিলামে যদি সুযোগ আসে, তবেই আবার নতুন বা পুরোনো কোনো দলে ভিড়তে পারার একটা জায়গা রয়েছে। নতুবা ২০২৪ আইপিএলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের না-ও দেখতে পাওয়া হতে পারে।
আইপিএলের গত দুই আসরে দিল্লির হয়ে খেলেন মুস্তাফিজ। ২০২২ আসরে আট ম্যাচে তিনি উইকেট নেন ৮টি। ২০২৩ আসরে সুযোগ পান মাত্র দুটি ম্যাচে, উইকেট পান একটি। ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটিতে আগে তিনি খেলেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও রাজস্থান রয়্যালসে।
গতবারের নিলামে ভিত্তিমূল্য ৫০ লাখ রুপিতে লিটনকে দলে নিয়েছিল কলকাতা। প্রথমবার টুর্নামেন্টটি খেলতে গিয়ে এই স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান সুযোগ পান কেবল একটি ম্যাচে, আউট হন ৪ রান করে। যতটুকু সুযোগ পেয়েছেন, খুব একটা কাজে লাগাতে পারেননি ব্যাটে৷ পাশাপাশি উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে যেয়েও ভুল করেছেন কিছু কিছু। সবমিলিয়ে লিটনের ভালো সময় যায়নি সেটা।
আরও পড়ুন: আনচেলত্তিই হচ্ছেন ব্রাজিলের কোচ!
আইপিএলে বাংলাদেশের নিয়মিত মুখ সাকিবকে গতবার নিলামে ভিত্তিমূল্য ১ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছিল কলকাতা। পরে অবশ্য সরে দাঁড়ান তিনি। আইপিএলে ৯ আসরে অংশ নিয়ে মোট ৭১ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব।
ব্যাটিংয়ে ৫২ ইনিংসে ১৯.৮৩ গড় ও ১২৪.৪৯ স্টাইক রেটে করেছেন ৭৯৩ রান। ফিফটি আছে দুটি। বাঁহাতি স্পিনে ৭০ ইনিংসে তার শিকার ৬৩ উইকেট। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৭.৪৪ করে। কলকাতার হয়ে তিনি শিরোপা জিতেছেন দুইবার।