২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৪৬

মারাকানার সংঘাত নিয়ে নেইমারের ইনস্টাগ্রাম বার্তা

নেইমার  © সংগৃহীত

লাতিন আমেরিকার এ দুই দেশের লড়াই মানেই যে উত্তাপ-উত্তেজনা তার প্রমাণ মিলেছে আরও একবার। ২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের টিকিট নিশ্চিতে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। দারুণ একটা লড়াই দেখার অপেক্ষায় ছিল আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের সমর্থকরা। অবশ্য নান্দনিক ফুটবলের চাইতে ফাউল এবং মাঠের বাইরের লড়াইয়ের কারণেই বেশি আলোচিত হয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই দলের মধ্যকার ম্যাচটি। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। ১-০ জয় পেলেও একটা দুশ্চিন্তা থেকেই গেছে। বছরের শেষ খেলায় চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এদিকে এই ম্যাচের উত্তাপ নিয়ে মুখ খুললেন নেইমার জুনিয়র। 

গ্যালারি এবং মাঠ-দুটোতেই যেন যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। জাতীয় সঙ্গীতের সময় ব্রাজিলকে দুয়ো দেওয়ার পর দুই দেশের সমর্থকদের মারামারি লেগে যায়। ব্রাজিলিয়ান পুলিশ আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ওপর লাঠিপেটা শুরু করে। আধাঘণ্টা দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচেও ছিল হাঙ্গামা! ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়রা একের পর এক ফাউল করতে থাকে, দুই অর্ধ মিলিয়ে ২৬টি। দেখেছে একাধিক হলুদ কার্ড, একটি লাল কার্ডও। এই ম্যাচের এমন কান্ডে ব্রাজিলের পোষ্টার বয়ের কণ্ঠেও ফুটে উঠেছে কিছুটা আতঙ্কের সুর।

গত অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাই খেলতে গিয়ে ব্রাজিলের সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতা এসিএল ইনজুরিতে পড়েন। এজন্য সুপার ক্লাসিকোর ম্যাচটা খেলা হয়নি পোষ্টার বয়। তবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মেজাজ হারানোর ম্যাচ নিয়ে চুপ থাকেননি নেইমার। তার দাবি, মঙ্গলবার ম্যাচটি খেললে প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতেন। তাকেও অনেক বেশি আঘাত সইতে হতো।

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নেইমার লিখেছেন, ‘ভালো খেলা, ক্লাসিক। উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচ। আমি এই ম্যাচে আরও অনেক আঘাত পেতাম। কিন্তু আমি হয়তো তালগোল পাকিয়ে ফেলতাম। ’চোটের কারণে লাতিন ফুটবলের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর দ্বৈরথে খেলা হয়নি নেইমারের। ওই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠা আবহ সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পোস্ট যেন একটু শান্ত করার চেষ্টা করলেন তিনি। ‘ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ আমাদের বাড়িতে হল্লা তৈরি করে। আরে চলো, চলো! আবহটা উঞ্চ করতে কাউকে না কাউকে তো কিছু একটা করতে হবে!’

অন্যদিকে, গ্যালারিতে মারামারি ও পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে মেসির প্রতিক্রিয়ার জবাব দিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)। এক বিবৃতিতে সিবিএফ বলছে, ‘এটি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা দরকার যে ম্যাচ আয়োজন ও পরিকল্পনার অত্যন্ত সতর্কতা এবং কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিল সিবিএফ। মাঠে থাকা দুই দলের প্রতিনিধি সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল, এমনকি রিও ডি জেনেইরোর সামরিক পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। পুরো ম্যাচের আয়োজন—বিশেষ করে নিরাপত্তার বিষয়টি ঠিক রাখতে আমরা প্রশাসন ও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সভায় নির্ধারণ করেছিলাম।’