ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচে গোলশূন্য প্রথমার্ধ
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ মানেই দারুণ উত্তেজনা যার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে মাঠে এবং মাঠের বাইরেও। ঐতিহাসিক মারাকানার গ্যালারি হল উত্তপ্ত। ম্যাচ শুরুর আগে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মাঝে দাঙ্গা বেঁধে যায়। যার কারনে নির্ধারিত সময়ে শুরু হল না ম্যাচ। খন চলছে ম্যাচের বিরতি। কোনো দলই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি প্রথমার্ধে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় খেলার শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ম্যাচটি শুরু হয় সকাল ৭টায়। ২০২১ সালে কাতার বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে এ মারাকানা স্টেডিয়ামে দুদলের ম্যাচ বাতিল হয়েছিলো।
মারাকানায় ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার ম্যাচ শুরু হওয়ার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষেই শুরু হয় প্রথম ঝামেলা। ব্রাজিলের মারাকানায় উপস্থিত আর্জেন্টিনার সমর্থকদের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে ব্রাজিলের সমর্থকরা। দ্রুতই সেখানে ছুটে যান স্থানীয় পুলিশের সদস্যরা। ঘটনার জের ধরে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি পুরো দল নিয়ে চলে যান ড্রেসিংরুমে।
মারাকানা স্টেডিয়ামেই ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে নিয়েছিল আর্জেন্টিনা। একই স্টেডিয়ামে আজ মুখোমুখি দুই দল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সবশেষ ম্যাচে পরাজিত হয়েছে দুই দলই। ফলে উভয় দলের লক্ষ্যই আজ জয়ে ফেরা। তবে জয়ে ফেরার লক্ষ্যে লড়াই শুরুর আগেই উত্তাপ ছড়ায় দুই দলের সমর্থকদের মাঝে।
নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সমর্থকদের সংঘর্ষের পর মাঠে গড়িয়েছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ। তবে কোনো দলই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি প্রথমার্ধে। শুরুর ১৫ মিনিট যেন শারীরিক ভাষা প্রয়োগেই ব্যস্ত ছিলেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। এরমাঝে ব্রাজিলের খেলোয়াড়রাই অবশ্য চড়াও হয়েছেন বেশি।
ম্যাচের ১৫ মিনিট না গড়াতেই কড়া ট্যাকল করে কার্ড দেখেন ব্রাজিলের গ্যাব্রিয়েল জেসুস এবং রাফিনহা। ৩৪ মিনিটে আবার কার্ড দেখেন ব্রাজিলের কার্লোস অগাস্টো। প্রথমার্ধে ৬১ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলমুখে মাত্র ৩টি শট করতে সক্ষম হয় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
কিন্তু একটিও লক্ষ্যে ছিল না। অন্যদিকে ব্রাজিল ৩৯ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলমুখে ৪টি শট করে যার একটি ছিল লক্ষ্যে।