প্রোটিয়াদের সঙ্গে হারতে হারতে জিতে ফাইনালে অজিরা
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রোটিয়াদের সঙ্গে হারতে হারতে তিন উইকেটের জয় পেয়েছে অজিরা। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে ওয়ানডে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১২ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০১ রান করেছেন মিলার। তাছাড়া ৪৭ রান এসেছে হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাট থেকে। অজিদের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক।
জবাবে খেলতে নেমে ৪৭ ওভার ২ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান এসেছে ট্রাভিস হেডের ব্যাট থেকে। তাছাড়া ৩০ রান করেছেন স্মিথ। প্রোটিয়াদের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন জেরাল্ড কোয়েটজে ও তাবরাইজ শামসি।
এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে একাই লড়াই করেন মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার। ২৪ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর হেনরি ক্লেসেনকে সঙ্গে নিয়ে ১১৩ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন মিলার।
৪ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ১১৯ রান। এরপর শূন্য রানের ব্যবধানে ফেরেন হেনরি ক্লেসেন ও মার্কু জেনসেন। ক্লেসেন ৪৮ বলে চার বাউন্ডারি আর দুটি ছক্কায় ৪৭ রান করে ফেরেন। গোল্ডেন ডাক মানের জেনসেন।
এরপর সপ্তম উইকেটে জেরাল্ড কোয়েটজিকে সঙ্গে নিয়ে ৭৬ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন ডেভিড মিলার। ৬ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ১৭২ রান। এরপর মাত্র ৪০ রানের ব্যবধানে প্রোটিয়ারা হারায় শেষ ৪ উইকেট।
১১.৫ ওভারে দলীয় ২৪ রানে ৪ ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন মিলার। ৪৭.২ ওভারে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে মিলার যখন আউট হন তখন দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২০৩ রান।
দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ধ্বংস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে ১১৬ বলে ৮টি চার আর ৬টি ছক্কার সাহায্যে ১০১ রান করে ফেরেন মিলার। মিলার আউট হওয়ার পর মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে কাগিসো রাবাদা আউট হলে ৪৯.৪ ওভারে ২১২ রানে ইনিংস শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার।