১১ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৬

অসম্ভব সমীকরণে পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই

পাকিস্তান ক্রিকেট দল  © সংগৃহীত

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে হলে একরকম অসম্ভবকে সম্ভবই করতে হবে পাকিস্তানকে। নিজেদের শেষ ম্যাচে যদি পাকিস্তান আগে ব্যাট করে তাহলে ইংলিশদের ২৮৭ রানের ব্যবধানে হারাতে হবে। অন্যদিকে, পরে ব্যাট করলে লক্ষ্যের ওপর নির্ভর করে ২.১  ওভারেই সেটা টপকাতে হবে।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে জয়ের পর বিশ্বকাপে রোমাঞ্চ জমিয়ে তুলেছিল পাকিস্তান। সেই রোমাঞ্চ আরও বাড়ত যদি পরশু শ্রীলঙ্কার কাছে নিউজিল্যান্ড হেরে যেত। এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হলেও কিছুটা সম্ভাবনা থাকত পাকিস্তানের। কিন্তু শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ১৭১ রানে অলআউট করে ২৩.২ ওভারে লক্ষ্য টপকে যায় কিউইরা। লঙ্কানদের এমন ভরাডুবির পর পাকিস্তানের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের আগেই বিদায় এখন প্রায় নিশ্চিত।

বিশ্বকাপে বর্তমানে পয়েন্ট তালিকার ৫ নম্বরে আছে পাকিস্তান। ৮ ম্যাচ শেষে পাকিস্তানের পয়েন্ট এখন ৮। অন্যদিকে ৯ ম্যাচ খেলা নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ১০। আজ ইংল্যান্ডকে হারাতে পারলে পাকিস্তানের পয়েন্টও হবে ১০। তবে রানরেটে পাকিস্তান পিছিয়ে আছে বিশাল ব্যবধানে। যে কারণে নিউজিল্যান্ডকে টপকে সেমিতে যেতে হলে পাকিস্তানকে জিততে হবে ২৮৭ রানে। আর রান তাড়ায় লক্ষ্য ছুঁতে হবে ২.১ ওভারের মধ্যে।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের শেষ লড়াইয়ে আজ বাংলাদেশের সামনে অস্ট্রেলিয়া, লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

শেষ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বাবর বলেন, ‘ম্যাচের অনেক কিছু নির্ভর করে জুটি গড়ার ওপর। কোন ব্যাটার কতক্ষণ ক্রিজে থাকছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, তাহলে আমি বলবো যদি ফখর ২০-৩০ ওভার ব্যাট করে, তাহলে আমরা হয়তো জিততে পারবো।’

বাবর আজম

যেখানে সবাই পাকিস্তানের বিদায় ধরে নিয়েছে, সেখানে বাবর নিজেদের স্বপ্নকে এখনই ভাঙতে চান না। পাকিস্তানের সম্ভাব্য বিদায় নিয়ে জানতে চাইলে বাবর জানান, ‘আমরা কেউ জানি না পরবর্তীতে কী হবে, এখনো আমাদের একটি ম্যাচ বাকি আছে।’

বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের জন্য অনেকেই দুষেছেন বাবরের অধিনায়কত্বকে। অনেকের ধারণা, অধিনায়কত্ব বাবরের ওপর বাড়তি চাপও তৈরি করেছে। সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আকরাম মজা করে বলেছেন, ইংল্যান্ডের ড্রেসিংরুমে তালা লাগিয়ে তাদের টাইমড আউট করেই শুধু সেমিতে যেতে পারে পাকিস্তান।  

যদিও বাবর তা মানতে নারাজ, ‘আমি তিন বছর ধরে পাকিস্তানের অধিনায়ক। আমি কখনোই অধিনায়কত্বের চাপ অনুভব করিনি। নেতৃত্বের কোনো চাপ আমার ওপর নেই। লোকে আমার অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা বলে। কিন্তু আমি বিশ্বকাপে গড়পড়তা মানের নিচে পারফরম্যান্স করিনি।’