পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয় বাংলাদেশের
স্পিনারদের নৈপুণ্যে পাকিস্তানের ব্যাটারদের নাগালেই রেখেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। বাকি কাজটা ভালোভাবেই সারলেন টাইগ্রেস ব্যাটাররা। ১৬৭ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ১২৫ রানের রেকর্ড গড়েন মুর্শিদা খাতুন ও ফারজানা হক। দুই ওপেনারের বিদায়ের পরও পথ হারায়নি বাংলাদেশ। ২৬ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে জ্যোতিরা।
ঘরের মাঠে দারুণ ছন্দে বাংলাদেশের মেয়েরা। টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওডিআইতেও পাকিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারাল জ্যোতি-নাহিদারা। এর আগে সিরিজের প্রথমে ম্যাচে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৫ উইকেট হারতে হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বোলারদের নৈপুণ্যে ১৬৯ রানের টার্গেট দিয়ে পাকিস্তানকে ১৬৯ রানেই আটকে দিয়েছিল টাইগ্রেসরা। এরপর সুপার ওভারে নাহিদা আক্তারের দুর্দান্ত বোলিং আর ব্যাটিংয়ে সোবানা মোস্তারি ও নিগার সুলতানার জ্যোতির বীরত্বে জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ ভারতীয় ছবিতে বিকৃত করে প্রকাশ
শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তোলে পাকিস্তান। টার্গেট তাড়ায় বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ১২৫ রান। নারী দলের ওয়ানডে ইতিহাসে উদ্বোধনীতে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে শুকতারা রহমান ও শারমিন আক্তারের করা ১১৩ রান ছিল সর্বোচ্চ জুটি।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। দুই ওপেনার সিধরা আমিন ও সাদাফ শামস দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বেশ ভুগিয়েছেন বাংলাদেশকে। প্রথম উইকেটের দেখা পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০ ওভার পর্যন্ত। ৩১ রান করে শামস আউট হলে ভাঙে ৬৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে মুনিবা আলি উইকেটে থিতু হয়েছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ রান। এরপর আর বড় কোনো জুটি গড়তে দেয়নি বাংলাদেশ।