২১ অক্টোবর ২০২৩, ২১:২১

দ. আফিকার কাছে ২২৯ রানের বড় ব্যবধানে হারল ইংলিশরা

ইংলিশদের আরও এক উইকেট পতনে জেনসেনদের উল্লাস  © সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না ইংলিশ ব্যাটাররা। প্রোটিয়াদের কাছে ২২৯ রানে হেরেছে বেন স্টোকসের দল। ২২ ওভারের থামে ইংলিশদের ব্যাটিং যাত্রা।

দলীয় ৭০ রানের আগেই ইংল্যান্ড হারিয়ে বসে ছয় উইকেট। তারপর কেবল বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতা। চারশ’ রানের পাহাড়সম টার্গেটের সামনে অসহায় বেন স্টোকসরা ভেঙে পড়ল তাসের ঘরের মতো।

টুর্নামেন্টে টিকে থাকার ম্যাচে নিরুপায় দর্শকের মতো পরাজয়ের পরিণতিই মেনে নিতে হল ইংলিশদের।
৪০০ রানের বড় টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতেই প্রোটিয়া ঝড়ে ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে ইংলিশরা। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই পেসারের তোপে একে একে আউট হন ওপেনার জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড মালান এবং তিনে খেলতে নামা অভিজ্ঞ ইংলিশ ব্যাটার জো রুট। কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারলেন না ইংলিশ অধিনায়ক স্টোকসও। রাবাদার শিকার হয়ে ৮ বলে ৫ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন চারে ব্যাট করতে আসা বেন স্টোকস।

লুঙ্গি এনগিডির শিকার হয়ে ১২ বলে ১০ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন ওপেনার বেয়ারস্টো। এরপর জো রুটকে ফেরান মার্কো জ্যানসেন। তিনি ৬ বলে ২ রান করেন তিনি। আর ১১ বলে ৬ রান করে জ্যানসেনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন মালান। দলীয় ৬৭ রানের মাথায় ইংলিশদের পঞ্চম উইকেটের পতন। ৭ বলে ১৫ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন জস বাটলার। এরপর হ্যারি ব্রুককে ফেরান জেরাল্ড কটজে। তখন ইংল্যান্ডে স্কোর বোর্ডে রান সংখ্যা মাত্র ৬৮। কটজের তৃতীয় শিকার হয়ে ১৪ বলে ১০ রান করে আদিল রশিদকেও ফিরতে হয় সাজঘরে। ইংলিশদের স্কোর কার্ডে তখন জমা পড়েছে ৮৪ রান। খোয়া গেছে ৭ উইকেট। 

এরপর লুঙ্গি এনগিডির কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে ডেভিড উইলিকেও ফিরতে হয় সাজঘরে। তখন তার ঝুলিতে ১২ বল খেলে জমেছিল ১২ রান। আর দলের স্কোরবোর্ডে কাঁটায় কাঁটায় ১০০।

শেষ দিকে অবশ্য ক্যাচ মিসের মহড়া চালায় দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডাররা। ভাগ্য গুণে বেঁচে যাওয়া দুই ইংলিশ ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে হারের ব্যবধান কিছুটা কমায় ইংলিশরা। মার্ক উড ও গাস অ্যাটিকসনের জুটিতে রীতিমতো ঝড় ওঠে। যদিও সেই ঝড় ইংলিশদের ডুবন্ত তরী টেনে তুলতে পারেনি। এই জুটিতে ৩২ বলে ৭০ রান যোগ হয় ইংলিশদের রানের খাতায়। তারপর ১৭০রানে ২২ ওভারেই সব উইকেট খোয়ায় ইংলিশরা।

এর আগে ৭ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৯৯ রান তোলে প্রোটিয়ারা। ৬৭ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলে হেনরিখ ক্লাসেন। তাকে সঙ্গ দিয়ে শেষ দিকে ঝড় তোলেন জ্যানসেনও। ৪২ বলে ৭৫ রান করেন তিনি। অধিনায়ক বাভুমার বদলে ওপেন করতে নামা রিজা হেন্ড্রিকসও তোলেন ৮৫ রান।