১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে হার টাইগারদের
এমনিতে ব্যাটিংয়ে ভালো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ। গত কয়েকটি ম্যাচে ৫০ ওভার ঠিকঠাক খেলতেও বেগ পেতে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। তার ওপর ইংল্যান্ডের ৩৬৫ রানের লক্ষ্য।
লড়াইটা মোটেও জমাতে পারেনি বাংলাদেশ। শুরুতে বিপর্যয়, মাঝে সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা, এরপর আবার ভেঙে পড়া-এই হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সারমর্ম। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরেছে ১৩৭ রানে। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে যেমন শুরু দরকার ছিল, তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি বাংলাদেশ।
সারাক্ষণই আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসের প্রথম দিকে লিটন ছাড়া আর কেউ ক্রিজে দাড়াতে পারেনি। ৮.৩ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একে একে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম তিনজনেই রিস টপলির শিকার।
টপলির ঝড় শেষে মাঝে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। কিন্তু সেটা ওই সামাল দেওয়া পর্যন্তই ছিল। দুজনের ৭০ রানের জুটি ভেঙেছে লিটনের বিদায়ে। ৭৬ রান করেছেন তিনি। ৬৬ বলের ইনিংসে সাত চার ও দুই ছক্কার মার রয়েছে। বাংলাদেশের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর।
লিটন-মুশফিকের পর জুটি অবশ্য আরও একটি হয়েছে। তবে মুশফিক-তাওহিদ হৃদয়ের সেই জুটি যতটা না ম্যাচ জয়ের জন্য ছিল, তার চেয়ে বেশি হারের ব্যবধান কমানোর জন্যেই মনে হয়েছে। দুজনের জুটি থেকে এসেছে ৪৩ রান। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়েছে ২২৭ রানে।