বিদেশে আম চুরি করেন সাকিব, পাহারাদার ছিলেন তামিম
দেশের বাইরে খেলতে গিয়ে একসঙ্গে একটি হোটেলে উঠেছিলেন সাকিব আল হাসান ও বন্ধু তামিম ইকবাল। সঙ্গে সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির ও তামিমের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকাও একই হোটেলে ছিলেন। ওই হোটেলে রাতের বেলায় সাকিব পরিকল্পনা করেন তিনি আম চুরি করবেন। যে কথা সেই কাজ।
সাকিবের আম চুরির পাহারাদার ছিলেন বন্ধু তামিম। দুই বন্ধু যখন আম চুরি করছিলেন তখন বসে ছিলেন তাদের দুই স্ত্রীও। সাকিব যখন গাছ থেকে আমগুলো নিচে ফেলছিলেন তখন সেগুলো কুড়াচ্ছিলেন শিশির ও আয়েশা। ২০১৩ সালের এমনই একটি ঘটনা ঢাকা এফএমে শেয়ার করেছিলেন সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম।
তামিম ছিলেন ‘গার্ড’। আর সাকিব আম গাছে উঠে আম চুরি করার দায়িত্বে ছিলেন। শিশির ও আয়েশা ছিলেন আম ধরার ‘ফিল্ডার’।
আবার তামিমের শেয়ার করা এমন ঘটনা নিজের ফেসবুকেও শেয়ার করতে ভুলেননি সাকিব। নিজের ফেসবুকে ‘চোর সাকিব আল হাসান’ শিরোনামে ওই গল্পের সঙ্গে দুই বন্ধুর একটি ছবিও যুক্ত করেছেন তিনি। পোস্টে সাকিব লিখেছেন, এটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সময়।
এফএমে শেয়ার করা তামিমের কথা উদ্ধৃতি করে সাকিব লিখেছেন, একই হোটেলে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও তাদের স্ত্রীরা ছিলেন। মধ্যরাতে সাকিবের পরিকল্পনা ছিল, হোটেল এলাকার আশপাশের একটি গাছ থেকে আম চুরি করবে।
‘‘পরিকল্পনা মোতাবেক তামিম ইকবাল ছিলেন ‘গার্ড’, নিরাপত্তা বাহিনীর কেউ আসে কিনা তা পরীক্ষা করা। আর সাকিব আম গাছে উঠে আম চুরি করার দায়িত্বে ছিলেন। শিশির ও আয়েশা ছিলেন আম ধরার ‘ফিল্ডার’।
২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ঢাকা এফএমে এ গল্প শেয়ার করেছেন তামিম ইকবাল। পরেরদিন ৬ ডিসেম্বর করা সাকিবের ওই ফেসবুক পোস্ট এখন আবার নতুন করে ভাইরাল হয়েছে। ক্রীড়া প্রেমীরা বলছেন, এটা আসলে চুরি নয়। সাকিব-তামিমের কেমন বন্ধুত্ব ছিল সেটাই এটার প্রমাণ।
তারা বলছেন, সাকিব-তামিমের বন্ধুত্বের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে এটা প্রকাশ্য। বোর্ডের বর্তমান প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনও দুই বন্ধুর এমন সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন। সাকিবের এ পোস্ট শেয়ার করে ‘দুই বন্ধুর আগের কেমন সম্পর্ক ছিলো’ সেটা উপলদ্ধির চেষ্টা করছেন ভক্তরা।