প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গড়ানো বিষয় আর আলোচনার প্রয়োজন ছিল না: মাশরাফি
তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের পর এবার ভিডিও বার্তা নিয়ে এলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। যেখানে শুরুতেই তামিমের প্রসঙ্গ টানেন তিনি।
জুলাইয়ে অবসর নেওয়ার মাশরাফির মধ্যস্থতায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ঘোষণার পরদিনই অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কথা জানান তামিম। দেশের হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে প্রস্তুতিও নেন তিনি। মাশরাফি জানতে যান প্রধানমন্ত্রী বলার পরও এটা নিয়ে আলোচনা কেন করতে হলো?
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এক ভিডিও বার্তায় মাশরাফি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চেয়েছে তামিম যেন বিশ্বকাপে খেলে। তামিমকে যে আদেশটা করেছিল প্রধানমন্ত্রী তামিমও তার বহিঃপ্রকাশ ছিল। তার পরে গণমাধ্যমে এসে সে কিন্তু বলেছে যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন খেলতে অবশ্যই এর পরে আর কোনো কথা নেই। আমি অবশ্যই খেলবো।
আরও পড়ুন: ‘ইন্ডিয়ান সিরিয়ালের মতো নাটক বানাচ্ছে বিসিবি’
মাশরাফি আরও বলেন, যে জিনিসটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গড়ালো সে জিনিসটা নিয়ে আমার কাছে মনে হয় না আর আলোচনার প্রয়োজন ছিল। যদি টিমের কোনো সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে, আমি আগেও বলেছি কোচ-অধিনায়ক ও টিম ম্যানেজমেট তারা ইন্ডিয়া গিয়ে সিদ্ধান্ত নিতো, যা করার করতো।
মাশরাফি প্রথমে তামিমের অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে কথা বলেন। মাশরাফি বলেন, আমার কাছে কোনো দিক থেকে মনে হয়নি তামিমের অধিনায়কত্ব ছাড়া উচিত হয়েছে। তামিমের একটা ইস্যু ছিল, সেটা হচ্ছে ইনজুরি। ইনজুরি থাকলে কিছু করার নাই। বোর্ডও তামিমকে নিয়ে কমফোর্ট ছিল। বোর্ড একটা জিনিস ক্লিয়ার করেছে যে, তামিমকে আমরা অধিনায়ক হিসেবে দেখেছি।
আরও পড়ুন: তামিমকে টিমম্যানই মনে করেন না সাকিব
বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক আরও বলেন, সে জায়গা থেকে তামিম অধিনায়কত্ব আসলে ছাড়া প্রয়োজন ছিল কি না ইনজুরির সঙ্গে মিলিয়ে সেটা তামিমই ভালো বলতে পারবে। বোর্ডের কেউ না কেউ তামিমের সঙ্গে কথা বলেছে। যেখানে সে উত্তেজিত হয়ে যায়। উত্তেজিত হয়ে যাওয়ার পর সে আর দলে থাকতে চায়নি।
মাশরাফি আরও বলেন, বোর্ড ক্লিয়ার করেছে যে, তামিম অধিনায়ক থাকলে বোর্ডের কোনো সমস্যা নাই। এখন পয়েন্ট ছিল তামিমের ইনজুরি। সে জন্য তামিমকে আরেকটু অপেক্ষা করা উচিত ছিল।