২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:২৭

বাংলাদেশ দারুণ ‘ভদ্রতা’ দেখিয়েছে: সোধি

ফিরে এসে হাসান মাহমুদকে জড়িয়ে ধরেন সোধি  © সংগৃহীত

হুট করেই নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা কিউই ব্যাটারকে রান আউট করলেন পেসার হাসান মাহমুদ। এরপর তৃতীয় আম্পায়ার থেকেও সিদ্ধান্ত এলো আউটের। নিয়ম করে সাজঘরের পথও ধরলেন ইশ সোধি। যাওয়ার সময় ব্যাটে তালি বাজিয়ে ক্ষোভের ছলে করলেন ঠাট্টা। এরপর অবশ্য তাকে আবার ফিরিয়ে আনলেন টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস। 

এমন ঘটনার পর চারদিকে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। নন স্ট্রাইক প্রান্তে রান আউট করা এখন বৈধ নিয়ম। পুরো দুনিয়াজুড়েই এমন ঘটছে নিয়মিত। এ অবস্থায় বাংলাদেশের আবার ফিরে আসতে বলাকে ‘ভদ্রতা’ বলছেন সোধি। তিনি প্রশংসা করেছেন স্বাগতিক অধিনায়ক লিটন দাসেরও।  

ম্যাচ শেষে এই কিউই বলেন, আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো মানুষ। আপনি দেশকে জেতানোর জন্য লড়ছেন, এখানে কিছুটা উত্তেজনা থাকতে পারে। আমি সামান্য বাইরে ছিলাম। ভালো হতো আমাকে সতর্ক করলে। আমি বুঝতে পারছি এখানে নিয়ম হলো আউট প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আমার মনে হয় এটা বাংলাদেশ দারুণ ভদ্রতা দেখিয়েছে। তারা খুব খুব ভালোভাবে সামলেছে এটা। আমি সৌভাগ্যবান ছিলাম তারা আবার আমাকে ফিরিয়ে এনেছে। আমি যদি বোলার হতাম, একই ব্যাপার করতাম হয়ত।

‌‌‌‌‌‌‌‘‘এটা ভালো যত সম্ভব রান করা। আমি হয়ত এমন করতাম না। বুঝতে পারছি এটা এখন খেলার নিয়মে আছি। আপনি পুরো দুনিয়াতেই এমন ঘটনা দেখেন। এটা এখন কিছুটা বিতর্কিত ইস্যু। তারা হয়ত আমাকে সহজেই সাজঘরে ফিরতে দিতে পারতো। তারা অনেক বড় স্পোর্টসম্যানশিপ দেখিয়েছে। আমরা সৌভাগ্যবান জয়ী দল হতে পারে কিন্তু এটা গুরুত্বপূর্ণ খেলার স্পিরিটটা বাঁচিয়ে রাখা। বিশেষত যখন আমরা এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলছি দেশের হয়ে জিততে।’’

ইশ সোধি ফিরে আসার পর করেছেন ১৮ রান, গড়েছেন ত্রিশ রানের জুটিও। তাতে নিউজিল্যান্ডের রান গিয়েছে আড়াইশ ছাড়িয়ে। মানসিকভাবেও রান তাড়ার সময় বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিয়েছে স্বাভাবিকভাবেই। এটা কি বাংলাদেশকে ম্যাচেও পিছিয়ে দিয়েছে—এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল সোধিকে।

জবাবে তিনি বলেন, আমি খুব ভালো ব্যাটার নই। এটা সুন্দর ভদ্রতা ছিল। বোলার হলে আমিও একই কাজ করতাম। গত কয়েক বছরে আমি অনেক দারুণ অধিনায়কের অধীনে খেলেছি নিউজিল্যান্ডের। আমার মনে হয় তারাও একই কাজ করতো। লিটন ছিল অনন্য যেভাবে সে সামলেছে সবকিছু। আমি বোলারকে জড়িয়ে ধরেছি, লিটনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। আমরা সবাই ক্রিকেটকে খুব সম্মান করি। সবাই চেষ্টা করছি স্পিরিটটা অক্ষুণ্ন রাখতে।