যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া যাচ্ছে মেসি বার্গার-চিকেন-বিয়ার, গ্রাহক চাহিদা তুঙ্গে
মেসির আগমনে সাজসাজ রব ফেলেছে মায়ামিতে। মেসি ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিতে দেয়ার পর থেকেই অন্যরকম উন্মাদনা যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে। দেশটির খেলাধুলায় এনেছেন ব্যাপক পরিবর্তন। রাস্তার মোড়ে মোড়ে, দোকানে এবং ক্রীড়াসামগ্রী বিক্রির স্থানগুলোয় ঠাঁই পেয়েছে মেসিকেন্দ্রিক জিনিসপত্র। তিনি সেখানে এতটাই প্রভাব বিস্তার করেছেন যে এখন তার নামেই তৈরি হচ্ছে খাবার। মায়ামির রেস্টুরেন্ট ও বার ব্যবসায়ীরা মেসির নামে চালু করেছেন বার্গার, চিকেন ও বিয়ার। সঙ্গে গ্রাহক চাহিদাও তুঙ্গে।
এর আগে মেসির নামে বার্গার বাজারজাত করেছিল বিশ্বখ্যাত যুক্তরাজ্যভিত্তিক চেইন রেস্টুরেন্ট হার্ড রক ক্যাফে। সেই বার্গারের স্বাদ নিজেই চেখে দেখেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। এবার তার নামে যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্রসৈকতের বারগুলোয় বিক্রি হচ্ছে মেসি পানীয়, দ্য হার্ড রক ক্যাফেতে বিক্রি হচ্ছে মেসি চিকেন স্যান্ডউইচ ও মেসি বার্গারও।
এমনকি স্থানীয় বিয়ার বিক্রেতারা এখন ক্যানে করে বিক্রি করছেন মেসি নামের বিয়ার। মায়ামির জার্সির আদলে বানানো ক্যানগুলোর ওপরে লেখা জিওএটি (গ্রেটেস্ট অব অল টাইম) ১০ (মেসির জার্সি নম্বর)।
এছাড়াও মেসি আসার পর থেকেই মায়ামির গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ইন্টার মায়ামির ম্যাচ মানেই টিকিট বিক্রির ধুম। গ্যালারিতে দেখা যাচ্ছে কিম কার্ডাশিয়ান, লেব্রন জেমস, সেরেনা উইলিয়ামস, পাফ ড্যাডি, ডিজে খালেদ, লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও, প্রিন্স হ্যারি ও সেলেনা গোমেজদের মতো তারকাদের।
মেসিকে ঘিরে তৈরি হওয়া এমন পরিস্থিতি নিয়ে ফ্লোরিডা আটলান্টিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া ইতিহাস ও আফ্রিকান-আমেরিকান স্টাডিজের অধ্যাপক জার্মেইন স্কট বলেছেন, ‘আক্ষরিক অর্থেই যেন এক রাতের মধ্যে সব বদলে গেছে। এমন কিছু আগে কখনো দেখিনি।’
মেসি আসার পর থেকে ইন্টার মায়ামির ম্যাচ মানেই টিকিট বিক্রির ধুম। এরই মধ্যে প্রতি ম্যাচে সব টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি টিকিটের দামেও দেখা মিলেছে নতুন নতুন রেকর্ডের। আর মেসি-ম্যানিয়া দেখা যাচ্ছে গ্যালারির ভিআইপি স্ট্যান্ডের দিকে তাকালেও। কিম কার্ডাশিয়ান, লেব্রন জেমস, সেরেনা উইলিয়ামস, পাফ ড্যাডি, ডিজে খালেদ, লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও, প্রিন্স হ্যারি ও সেলেনা গোমেজদের মতো তারকারা মেসির খেলা দেখতে মাঠে গেছেন।
টিকিট বিক্রির সাইট টিকপিকের হিসেব অনুযায়ী, মেসির আসর পর টিকিটের দামে অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। টিকিটের ১১০ ডলার থেকে ৬৯০ ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। একই অবস্থা দেখা গেছে জার্সি বিক্রিতেও। বাজারের সব জার্সি শেষ, এমনকি অগ্রিম টাকা পরিশোধ করেও জার্সির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে অক্টোবর পর্যন্ত।
এরই মধ্যে মেসির হাত ধরে ইন্টার মায়ামি পেয়েছে নিজেদের প্রথম শিরোপার দেখা। নিশ্চিত করেছে আরেকটি টুর্নামেন্টের ফাইনাল। এমনকি মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) তলানি থেকে উঠে এসে প্লে–অফ নিশ্চিত করার স্বপ্ন দেখছে মায়ামি। পুরো দেশেই পড়েছে মেসি-ইফেক্ট। কদিন আগেও মায়ামির গোলাপি রঙের যে জার্সি ছিল অতি সাধারণ, এখন সেটি যেন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলের প্রতীক হয়ে উঠেছে।