আশরাফুলের পর গাদ্দাফির অনার্স বোর্ডে শান্ত-মিরাজের নাম
পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ১৫ বছর পর ক্রিকেট ফিরেছে। এশিয়া কাপের বাঁচা-মরার ম্যাচে ২০১৭ সালের পর এবারই প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। এই সম্মান-স্বরূপ লাহোরের ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামের অনার্স-বোর্ডে নাম লেখানোর সুযোগ পেয়েছেন এই দুই ক্রিকেটার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৮৯ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
সুপার ফোরে বাংলাদেশকে যেতে হলে পরের ম্যাচতো জিততেই হতো। বাংলাদেশের জন্য দরকারি জয় ছিল। তথ্যমতে, নিশ্চিত হয়েছে সুপার-ফোর। তবে এই জয়ে যাদের ভূমিকা, তাঁদের মধ্যে অন্যতম দুইজন মিরাজ ও শান্ত। দুই বন্ধু বলা চলে। অনূর্ধ্ব-১৯ এ থাকাকালীন খেলেছেন একসাথে। সেখানের বিশ্বকাপেও খেলেছেন। এবার দুই বন্ধু আবারও একত্রে বাংলাদেশের জয়ে ভূমিকা রাখলেন।
আফগানদের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন মিরাজ। খেললেন ১১৯ বলে ১১২ রানের ইনিংস। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এক পর্যায়ে। অন্যদিকে শান্ত, তিনিও নিজের ব্যাটিং পজিশনে আজ নামেননি। খেলেছেন চার নম্বরে। মিরাজের সাথেই বাঁধলেন জুটি। মিরাজের সেঞ্চুরির পর শান্ত নিজেও পান সেঞ্চুরির দেখা। দুই ব্যাটার মিলে দলের জন্য ১৯৪ রানের সংগ্রহ এনে দেন। শান্ত ফিরেছেন ১০৫ বলে ১০৪ রান করে।
শান্ত-মিরাজ দুজনের সেঞ্চুরি লাহোরের ঐতিহাসিক গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। ইংল্যান্ডের লর্ডসের মতোই এখানে মাইলফলকগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখা হয় অনার্স-বোর্ডে। সেই রীতিতে শামিল হলেন বাংলাদেশের এই দুই ক্রিকেটার। ম্যাচ শেষে গাদ্দাফি’র অনার্স বোর্ডে নিজেদের নাম স্বাক্ষর করে রাখলেন। বাংলাদেশ যেন লাহোরে এক স্মরণীয় ম্যাচ খেলে ফেলল আজ।
শান্ত-মিরাজ; দুজনের সেঞ্চুরি লাহোরের ঐতিহাসিক গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। ইংল্যান্ডের লর্ডসের মতোই এখানে মাইলফলকগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখা হয় অনার্স-বোর্ডে। সেই রীতিতে শামিল হলেন বাংলাদেশের এই দুই ক্রিকেটার। ম্যাচ শেষে গাদ্দাফি’র অনার্স বোর্ডে নিজেদের নাম স্বাক্ষর করে রাখলেন। বাংলাদেশ যেন লাহোরে এক স্মরণীয় ম্যাচ খেলে ফেলল। এত এত ঘটনার মধ্যে দিয়ে। এর আগে ২০০৮ সালে সেঞ্চুরি করে এই বোর্ডে নাম লিখিয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
আরও পড়ুন: যেভাবে সুপার ফোর নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের
অনার্স বোর্ডে দুই বাংলাদেশির নাম ওঠার বিষয়টি রোববার দিবাগত রাতেই নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পিসিবি জানায়, 'বাংলাদেশের পক্ষে দুই সেঞ্চুরিয়ান মেহেদী হাসান মিরাজ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের অনার্স বোর্ডে নিজেদের নাম লিখিয়েছে।’
এদিকে, কঠিন সমীকরণ মাথায় নিয়ে এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে শুধু জয় পেলেই চলত না, জিততে হত বড় ব্যবধানে। সেটিই করে দেখিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে হারিয়েছে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে। আর তাতেই এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত করে ফেলেছে টাইগাররা।
কেননা টাইগারদের রানরেট এখন (+০.৩৭৩)। তারা এখন 'বি' গ্রুপে তিন দলের মধ্যে দ্বিতীয় নম্বরে। শ্রীলঙ্কার নেট রানরেট (+০.৯৫১) বাংলাদেশের থেকে বেশি, তাই সমান ২ পয়েন্ট নিয়েও এক নম্বরে লঙ্কানরা।