মেসির মতো বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ঘুমালেন স্পেন তারকা
প্রথম বার টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল স্পেন। অধিনায়ক ওলগা কারমোনার একমাত্র গোলে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে নারী বিশ্বকাপ নিজেদের করে নিয়েছে স্পেনের মেয়েরা। তাতে এই প্রথমবার মেয়েদের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হল স্পেন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার খুশিতে ট্রফি কোনওভাবেই হাতছাড়া করতে নারাজ স্পেনের ফুটবলার হেনি হেরমোসোর। তাই তিনি বেছে নিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসির পন্থা।
বিশ্বকাপ ট্রফি রেখে ঘুমানোর ইচ্ছা হতে পারে, গত ডিসেম্বরে কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর তা দেখিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। স্প্যানিশ স্ট্রাইকার হেনি হেরমোসোর নারী বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ট্রফি শিয়রে রেখে ঘুমিয়েছেন। মেসির মতো হেরমোসোর এ ছবিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল।
বিশ্বকাপ ট্রফি শিয়রে রেখে ঘুমানোর ছবি নিজেই টুইট করে হেরমোসা ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘সেরা স্বপ্নটাই...সত্যি হলো।’ গত ডিসেম্বরে কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মেসির এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল।
বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরে একটি হোটেলে ঘুমাতে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা দল। মেসি ঘুমাতে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপ ট্রফি সঙ্গে নিয়ে। বিছানায় মাথার পাশে থাকা আরেকটি বালিশে ‘শুইয়ে’ রেখেছিলেন বিশ্বকাপ ট্রফিটি। সেই ছবি মেসিই পোস্ট করেছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। হেরমোসো মেসিকে অনুকরণ করেই এমন ছবি প্রকাশ করেছেন।
মেসির সেই ছবি এবং তাঁর ছবি পাশাপাশি রেখে ভালো করে খেয়াল করলে আরও একটি ব্যাপার নজর কাড়বে। সেই ছবিতে মেসি বাঁ হাত দিয়ে ট্রফিটি আগলে রেখে ডান হাতটা ট্রফির নিচ দিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। হেরমোসাও ঠিক সেটাই করার চেষ্টা করেছেন। বাঁ হাত দিয়ে ট্রফিটি ধরে ডান হাত ট্রফির নিচ দিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
কাতারে বিশ্বকাপ জেতার পরদিন হোটেলে নিজের পাশে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি রেখে ঘুমিয়ে ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা মেসি। মেসির সেই ছবি ইন্সটাগ্রামে রাতারাতি ঝড় তুলেছিল। মেসি তাঁর সেই ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার পর তাতে লাইকসংখ্যা ৫ কোটি ৪৪ হাজার। সামাজিক এই প্ল্যাটফর্মের ইতিহাসেই তৃতীয় সর্বোচ্চ লাইক পাওয়া ছবি এটি। তার সেই ছবি অনুকরণ হবে, এটাই হয়ত স্বাভাবিক।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবার পর একটু বেশিই আলো কেড়ে নিয়েছেন হেনি হেরমোসো। তবে এতসবের বাইরে সবচেয়ে বড় আলোচনা, মেসির মত তিনিও এখন একজন বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। তবে হেরমোসোর জন্য দিনটা হতে পারতো বেদনাদায়ক। ভাগ্য ভালো যে তার পেনাল্টি মিসের পরও স্পেনকে খেসারত দিতে হয়নি।