সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করলেন তামিম
সম্প্রতি চালু হয়েছে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি। আনুমানিক ১০ কোটি মানুষকে সুবিধা দিতে এই স্কিম চালুর প্রথম দিনেই প্রায় ৮ হাজার মানুষ নিবন্ধন করে এর সাথে যুক্ত হন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
রোববার (২১ আগস্ট) মুঠোফোন ভিত্তিক আর্থিক সেবাদান প্রতিষ্ঠান নগদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে তামিমকে সর্বজনীন পেনশনের জন্য নিবন্ধন করতে দেখা যায়। এ সময় তামিমের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন নগদের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।
প্রকাশিত ভিডিওতে তামিম বলেন, ‘গত ১৭ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবার জন্য পেনশন স্কিম শুরু করেছেন। এই স্কিমের মাধ্যমে আমাদের অনেকের ভবিষৎ নিশ্চিত হবে। আমরা যে যেই পেশাতেই থাকি না কেনো, অবসরের পর আমাদের সবার কী হবে সেটি নিয়ে একটা মাথাব্যথা থাকে। তবে এই পেনশন স্কিম আমাদের সেই দুশ্চিন্তা দূর করবে।‘
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন রেজিস্ট্রেশন করবেন যেভাবে
তামিম আরও বলেন, ‘আমাদের দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এটা একটা মাইলফলক। উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার যেই স্বপ্ন আমরা দেখি, পেনশন স্কিমের মাধ্যমে সেই পথে আরও এক ধাপ অগ্রসর হয়েছি। আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই বছর যারা নগদের মাধ্যমে এই পেনশন স্কিমে টাকা জমা দেবেন, এর মধ্যে কিছু কাস্টমার লাভসহ সম্পূর্ণ টাকা আপনারা পরবর্তী বছর ফেরত পেয়ে যাবেন।‘
বর্তমানে সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছাড়া ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের যে কেউ সার্বজনীন পেনশনের আওতায় ৪টি স্কিমের একটিতে অংশ নিতে পারবেন। এজন্য (www.upension.gov.bd) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় রেজিস্ট্রেশন সুবিধা পাওয়া যাবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর থেকে সুবিধা পাবে দেশের ১০ কোটি মানুষ। এর ফলে দেশে-বিদেশে বসবাসরত ১৮ বছরের বেশি বয়সী যেকোনও বাংলাদেশি পেনশনের আওতায় আসার সুযোগ পেলেন। সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে ৪ ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু হলো। সেগুলো হলো-প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী।
কারা করতে পারবেন?
এই কর্মসূচির আওতায় ১৮ থেকে ৫০ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা থাকবে। মাসিক চাঁদা হবে সর্বনিম্ন এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা। সর্বনিম্ন এক হাজার টাকার মধ্যে পাঁচশ টাকা সরকার প্রদান করবে। পেনশনব্যবস্থায় নগদ টাকায় কোনো লেনদেন হবে না। সব কর্মকাণ্ড হবে অনলাইনে।আর ৬০ বছর বয়স থেকে আজীবন পেনশন পাবেন তারা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে দেশে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ ছিলেন ১ কোটি ২০ লাখ। ২০৪১ সালে যে সংখ্যা হবে ৩ কোটি ১০ লাখ। পেনশন কর্তৃপক্ষ বলছে, মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা। পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে। মূলত এই কারণেই সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু হলো।