ফাইনালে মেসিদের ইতিহাস গড়ে প্রথম শিরোপা মায়ামির
যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন মেসি। ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দিয়ে নিজের প্রথম মৌসুমেই মেজর লিগ সকারের ক্লাবটি ইতিহাসে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। নির্ধারিত নব্বই মিনিটে ন্যাশভিলের বিপক্ষে ম্যাচটি ড্র হওয়ার পর টাইব্রেকারে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মায়ামি। কেবল লড়াই-ই নয়, রীতিমতো স্নায়ুক্ষয়ী শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ দেখলেন ফুটবলভক্তরা।
রোববার (২০ আগস্ট) প্রতিপক্ষের মাঠ জিওডিস পার্কে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়। মাঠে বসে ৩০ হাজার দর্শক পুরো ম্যাচে দেখেছেন টান টান উত্তেজনাপূর্ণ এক লড়াই। জয় পেলে ইতিহাস হতো স্বাগতিক ন্যাশভিলেরও।
আজই প্রথমবারের মত দুই দলই খেলতে নামে নিজেদের প্রথম ফাইনাল। আর শুরু থেকেই নিজেদের উদ্বোধনী শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজিয়ে বসে উভয় দলের ফুটবলাররা। আগের ৬ ম্যাচে মেসি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। করেছেন ৯টি গোলের পাশাপাশি এক অ্যাসিস্ট।
তবে নাশভিলের ঘরের মাঠ জিওসি পার্ক স্টেডিয়ামে আজকের ম্যাচে প্রথম সাফল্য পায় মিয়ামি। আর অবধারিত ভাবেই যেন সেই সাফল্যের নায়কও মেসিই। ম্যাচের ২৩ মিনিটের সময় ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এরপর নাশভিলের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে আরও তিন ফুটবলারের মানবদেয়াল ভেদ করে দুর্দান্ত এক শট নেন তিনি। বলও খুঁজে পায় জালের দেখা। ফলে ম্যাচের শুরুতেই এক গোলে এগিয়ে যায় মিয়ামি।
এরপর ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ্বে মাঠে নেমেই এক গোলে পিছিয়ে থাকা নাশভিল শুরু করে আক্রমণ। তবে ৫০ মিনিটের সময় নিজেদের দ্বিতীয় গোল করার সুযোগ পেয়েছিল মায়ামি। কিন্তু জর্দি আলবার এগিয়ে দেয়া বলে জোসেফ মার্তিনেজের নেয়া শট ব্যর্থ হয় জালের দেখা পেতে।
এদিকে ম্যাচের ৫৭ মিনিটের সময় ঠিকই সমতায় ফেরে নাশভিল। কর্ণার থেকে আসা বল গোলপোস্টের একেবারে কাছে থেকে মাথা ছুইয়ে দেন তিনি। ফলে ১-১ স্কোরলাইনে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয় শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে। এরপর ম্যাচের ৭০ মিনিটের সময় মায়ামিকে আরও একবার এগিয়ে দেয়ার দারুণ এক সুযোগ তোইরি করেছিলেন মেসি। বক্সের বাইরে থেকে ফের দুর্দান্ত এক শট নিয়েছিলেন তিনি।
সেই শট ফিরে আসে গোলপোস্টের বাঁধায়। এরপর ম্যাচের বাকি সময়ে দুই দলই প্রাণান্ত চেষ্টা চালায় গোলের দেখা পেতে। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে অবশ্য দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন মিয়ামির কোপানা। ডিফেন্সিভ হাফ থেকে লং পাসে বল পেয়ে গোলের লক্ষ্যে ছুটেছিলেন তিনি। সামনে নাশভিলের গোলরক্ষক ছাড়া ছিল না আর কোনো বাঁধা। কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হন তিনি।
ফলে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। এদিকে টাইব্রেকারেও আজকের ম্যাচটি ছড়ায় নাটকীয় উত্তেজনা। প্রথম পাঁচটি শট নেয়ার পরও কোনো দলই জয় না পাওয়ার পর পরের চারটি শটে দুই দলের ফুটবলাররাই করেন লক্ষ্যভেদ। এরপর দুই দলের গোল রক্ষকদের শট নেয়ার পালা। তাতে মিয়ামির গোলরক্ষক প্রথম শট নিয়ে ঠিকই জালের দেখা পান। এরপর নাশভিলের গলরক্ষকের নেয়া শটও আটকে দেন তিনি। ফলে চরম উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচের পর চ্যাম্পিয়ন হয় মিয়ামি।