আফগানিস্তানের ব্যাটিং বিপর্যয়
সিরিজের শেষ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে যায় আফগানিস্তান। ফিল্ডিংয়ে নেমেই শরিফুল ইসলামের হাত ধরে উড়ন্ত শুরু হয় টাইগারদের। শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে সফরকারী দল।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩০.২ ওভার ৭ উইকেটে ৮০ রান। প্রথম ওভারে এক রান দেন শরিফুল। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ইবরাহিমকে আউট করে নেন প্রথম উইকেট, উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন এই আফগান ওপেনার। ওভারের পঞ্চম বলে একই কায়দায় আউট করে ফিরিয়ে দেন রহমত শাহকে। শূন্য রানেই বিদায় দেন তাকে।
আরো পড়ুনঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ১ম রিলিজ স্লিপে আবেদন ১৩ জুলাই থেকে
৩ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া আফগানরা বড় ধাক্কা খায় ষষ্ঠ ওভারেই। এরপর আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আফগানদের ম্যাচ জেতানো গুরবাজ তাসকিনের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন। তাসকিনের বলে ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে বল ধরা পড়ে। ২২ বলে ৬ রান করে আউট হয়েছেন গুরবাজ।
অষ্টম ওভারে ফের আঘাত হানেন শরিফুল। এবার তার ওভারে এলবিডব্লিউ হন মোহাম্মদ নবি । তার গুড লেংথের বল শাফল করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি নবি। বল সোজা গিয়ে আঘাত হানে তার প্যাডে। ১ রান করেই ফিরতে হয় নবিকে। মাত্র ১৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে আফগানরা গড়ে এক লজ্জাজনক রেকর্ড। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে তারা এতো কম রানে কখনোই চার উইকেট হারায়নি।
১০ ওভারের পর দুই প্রান্ত দিয়েই স্পিন আক্রমণ করে বাংলাদেশ। এবার ১৬তম ওভারে গিয়ে সাকিবের লেংথ বলে ১০ রান করা নাজিবউল্লাহ জাদরান এলবিডব্লিউর শিকার হন। তাইজুল ইসলাম ২ ওভার
টানা দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতেছে আফগানিস্তান। আজকের ম্যাচটি হাতছানি দিচ্ছে রশিদ খান, মুজিব উর রেহমানদের ইতিহাস গড়ার। যদি জিতে যায়, তাহলে প্রথমবারের মতো টাইগারদের হোয়াইটওয়াশ করবে।