০৬ জুলাই ২০২৩, ১৩:২৭

অশ্রুসিক্ত চোখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তামিম

অশ্রুসিক্ত চোখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তামিম  © সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তামিম। চট্টগ্রামের হোটেল টাওয়ার ইনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তামিম। গতকাল বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আফগানদের কাছে প্রথম ওয়ানডেতে হারের পর সিরিজ কাভার করতে চট্টগ্রামে যাওয়া সাংবাদিকদের কাছে মধ্যরাতে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠান তামিম। যেখানে জানান, আজ দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে কিছু বিষয়ে জানাবেন তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টায় সেই সংবাদ সম্মেলনে আজ দুপুর ১ টা ১৫ মিনিটেই নির্ধারিত হোটেলে পৌছান তামিম। 

শুরু থেকেই দেখা যায় তাঁর চোখে পানি। মিনিট দশেক পর কথা শুরু করেই তামিম জানান, গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচটিই ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার শেষ ম্যাচ। এ সময় বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। 

তামিম শুরুতেই বলেন, নরম্যালি এমন সময়ে যে কোনো ক্রিকেটারই স্পিচ লিখে নিয়ে আসে, কিন্তু এমন কিছু আমি করিনি। খুব দ্রুতই শেষ করবো আমি। নিজের বাবার স্বপ্ন পুরণের জন্যই ক্রিকেট খেলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমি শুধু একটি কথাই বলতে চাই, আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ১৬ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের জন্য তামিম ধন্যবাদ দিয়েছেন সতীর্থ, কোচ, বিসিবি, পরিবার ও সমর্থকদের, ‘ক্যারিয়ারের এই দীর্ঘ পথচলায় আমার সব সতীর্থ, সব কোচ, বিসিবির কর্মকর্তাগণ, আমার পরিবার ও যাঁরা আমার পাশে ছিলেন, নানাভাবে সহায়তা করেছেন, ভরসা রেখেছেন এবং আমার ভক্ত-সমর্থক, বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনুসারী, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের সবার অবদান ও ভালোবাসায় আমি চেষ্টা করেছি সব সময় দেশের জন্য নিজের সবটুকু উজাড় করে দিতে।’

এর আগে ২০২২ সালের ১৬ জুলাই হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম। এরপর থেকে শুধু টেস্ট আর ওয়ানডেই বাঁহাতি এই ওপেনারকে ২২ গজে দেখা গেছে।

ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তামিমের। ২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কেনিয়ার বিপক্ষে দেশের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজের ঘরের মাঠে এই সংস্করণেই তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেন তামিম। ২৪১ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৬.৬২ গড়ে ৮৩১৩ রান করেছেন, সেঞ্চুরি ১৪টি, ফিফটি ৫৬টি।

টেস্টে ৭০ ম্যাচে ৩৮.৮৯ গড়ে তাঁর সংগ্রহ ৫১৩৪ রান। ৩১ ফিফটির সঙ্গে করেছেন ১০ সেঞ্চুরি। সবার আগে ছেড়ে দেওয়া টি-টোয়েন্টিতে ৭৮ ম্যাচে করেছেন ১৭৫৮ রান। দেশের একমাত্র সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে ৭টি ফিফটিও।