০৩ জুলাই ২০২৩, ১৯:৪৭

মার্টিনেজের সফর আনন্দের চেয়ে আক্ষেপই বেশি ছিল ভক্তদের

  © সংগৃহীত

বাংলাদেশের আতিথেয়তা আর একরাশ সুখস্মৃতি নিয়ে ঢাকা ছাড়লেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তার এ সংক্ষিপ্ত সফর নিয়ে উন্মাদনার শেষ ছিলো না ভক্তদের। অনেকের আশা ছিলো কাছ থেকে হয়তো একবার দেখবেন প্রিয় এই ফুটবলারকে। কিন্তু তার এই সফর যেন আটকে ছিলো হোটেলবন্দী সময়, সৌজন্য সাক্ষাৎ আর কালো কাচে ঘেরা গাড়িতেই।

ভক্তদের আশায় গুড়ে বালি করে মাত্র ১১ ঘন্টায়ই দেশ ত্যাগ করেন মার্টিনেজ। তার উপর ছিলো কড়া নিরাপত্তা। এ নিরাপত্তা ভেদ করে কোনো জনসাধারণের পক্ষেই সম্ভব হয়নি তাকে দেখার। ছিলো না গণমাধ্যমেরও কোনো প্রবেশাধিকার। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায় ভক্তদের নানান আক্ষেপভরা পোস্ট।

সাথে যোগ হয় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার শত চেষ্টার পরেও মার্টিনেজের সাথে দেখা করতে না পারার বিষয়টি। এর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অসহযোগিতাকেই ধরে নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। 

তার এই সফরে শাহজালাল বিমানবন্দরে নেমে তিনি সরাসরি চলে যান হোটেলে। সেখানে কিছু সময় বিশ্রাম করে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের অফিসে যান। তারপর সৌজন্য সাক্ষাত করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে।

সংক্ষিপ্ত সময়ের এই সফরে মার্টিনেজকে সম্মাননা জানানো হয় তাকে আনা স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে। সেখানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও অল্প কয়েকজন ফুটবলভক্ত উপস্থিত ছিলেন।

মাশরাফির দুই সন্তানকে নিজের সাক্ষর সংবলিত জার্সি ও গ্লাভস উপহার দেন মার্টিনেজ। সেই সঙ্গে তোলেন সেলফিও। এদিকে মাশরাফিও তার নিজের জাতীয় দলের একটি জার্সি উপহার দেন মার্টিনেজকে। আর আইসিটি প্রতিমন্ত্রী উপহার দেন পাটের তৈরি একটি নৌকা আর বঙ্গবন্ধুর একটি বই। পাশাপাশি স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাকে দেওয়া হয় ‘বাজপাখি’র একটি মুর্যাল।

এরপর মার্টিনেজ যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে। প্রধানমন্ত্রীকে নিজের সাক্ষর সংবলিত একটি জার্সি উপহার দেন আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী গোলরক্ষক।