শান্তর ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ, পার্টনারশিপ ১১০ রানের
২০১৯ সালের পর এই প্রথম সফরকারীদের সাথে সাদা পোশাকের খেলায় মুখোমুখী হয়েছে টাইগাররা। শুরুতেই দলীয় ৬ রানে জাকির হাসানের আউটে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। নাজমুল হোসেন শান্ত আর মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে গড়েন দারুণ এক জুটি। ইতোমধ্যে দুজনের ১১০ রানের জুটি তৈরি হয়েছে।
বুধবার (১৪ জুন) সকাল ১০টায় মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্ট ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ম্যাচটিতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান।
শুরুর দিকে জাকির আউট হলে দলের হাল ধরেন জয় ও শান্ত। এর মধ্যে মাত্র ৫৮ বল থেকেই ফিফটি তুলে নেন শান্ত। অনেকটা ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করছেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করতে তিনি ১০টি চারের মার হাঁকিয়েছেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়।
চা বিরতির আগ পর্যন্ত শান্ত-জয়ের জুটি শতরান পার করেছে। বেশ ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। ২৪ ওভারে ১ উইকেটে ১১৬ রান নিয়ে প্রথম দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গেছে টাইগাররা। শান্ত ৬৪ আর জয় ৩৮ রানে অপরাজিত আছেন। জুটি অবিচ্ছিন্ন ১১০ রানে।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের জন্য ২০০ মিলিয়ন দিতে রাজি রিয়াল মাদ্রিদ
এ দিন ব্যাটিংয়ে নেমে ১.১ ওভারে নিজাতুল্লাহ মাসুদের বলে উইকেটরক্ষক আফসার জাজাইয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দেন জাকির। এটি ছিল আফগানিস্তানের জার্সিতে মাসুদের প্রথম বল। আর সেই বলেই সফল হন এ পেসার। জাকির সাজঘরে ফেরেন ২ বলে ১ রান করে।
আফগানদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের দলে রয়েছেন তিন পেসার। সংশয় থাকলেও শেষ পর্যন্ত ইবাদত হোসেন ও শরীফুল ইসলামের সঙ্গে একাদশে থাকছেন দেশসেরা পেসার তাসকিন আহমেদ।
বাংলাদেশের একাদশ
মাহমুদুল জয়, জাকির হাসান, নাজমুল শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (অধিনায়ক), মেহেদি মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেন।
আফগানিস্তানের একাদশ
ইব্রাহিম জাদরান, আব্দুল মালিক, রহমত শাহ, হাসমতুল্লাহ শাহেদি (অধিনায়ক), বাহির শাহ, করিম জানাত, আফসার জাজাই, আমির হামজা, ইশারুলহক নাভিদ, ইয়ামিন আহমেদজাই, জাহির খান।