১৮ মে ২০২৩, ০৮:৫১

রিয়ালকে কাঁদিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে ম্যানসিটি

স্বপ্নের ফাইনালে ম্যানসিটি  © সংগৃহীত

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠল ম্যানচেস্টার সিটি। তবে ঘরের মাঠ ইতিহাদে রিয়ালকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করল ম্যানসিটি। রিয়ালকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পেপ গার্দিওলার দল। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠল সিটি। গতবার সেমিফাইনালে উঠলেও রিয়ালের কাছে হেরে ফাইনালে উঠতে পারেনি দলটি।

বুধবার (১৭ মে) দিবাগত রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ৪-০ গোলের জয় তুলে নেয় ম্যানচেস্টার সিটি। সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে প্রথম লেগের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছিল। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলের অগ্রগামিতায় ফাইনালে পা রাখল পেপ গার্দিওলার দল।

ম্যাচে শুরু থেকেই বল দখলে আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে ম্যানসিটি। ২৩তম মিনিটে গোলের দেখা পায় তারা। কেভিন ডি ব্রুইনের পাস থেকে গোল করে সিটিকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন বের্নারদো সিলভা। এই পর্তুগিজ তারকাই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ৩৭তম মিনিটে। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সিটি।

বিরতির পরও আধিপত্য ধরে রাখে স্বাগতিকরা। ৭৬তম মিনিটে গোল বাঁচাতে গিয়ে হেডে নিজেদের জালেই বল পাঠান রিয়ালের ব্রাজিলীয় ডিফেন্ডার এডের মিলিতাও। সিটি তাদের চতুর্থ গোলটি পায় যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে। বদলি হিসেবে মাঠে নামার দুই মিনিটের মধ্যেই গোলটি করেন সিটির আর্জেন্টাইন তারকা জুলিয়ান আলভারেজ।

আরও পড়ুন: সুপার লীগে সবচেয়ে বেশি রান বাবরের, শীর্ষ দশে মুশফিক-তামিম

ম্যাচের শেষ মুহূর্তেও গোল হজম করে রিয়াল মাদ্রিদ। তিন মিনিট যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ফিল ফোডেনের নো লুক পাস বক্সে পেয়ে প্রথম ছোঁয়াতেই জালে পাঠান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আলভারেজ। আর তাতেই ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদকে এক হালি গোল উপহার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করে সিটি। ফাইনালে ম্যানসিটির প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান। তুরস্কের রাজধানী ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত হবে এবারের ফাইনাল।

দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ফাইনাল উঠল ম্যানচেস্টার সিটি। ফাইনালে ম্যানসিটির প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান। তুরস্কের রাজধানী ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত হবে এবারের ফাইনাল।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করল ম্যানচেস্টার সিটি। দুই প্রান্তে সিলভা-গ্রিলিশ খেলেছেন দুর্দান্ত, অবিশ্বাস্য। তাদের থামাতেই রীতিমত হিমশিম খেয়েছে রিয়ালের রক্ষণভাগ। হ্যাটট্রিক পেতে পারতেন আর্লিং হালান্ড। তার দুটি হেড ও একটি শট অনন্য দক্ষতায় বাঁচিয়ে দেন রিয়ালের দেয়াল কর্তোয়া।