১৫ মে ২০২৩, ১৫:১০

ম্যারাডোনা, পেলে, কাফু’র পর এবার কলকাতা আসছেন মার্টিনেজ

এমিলিয়ানো মার্টিনেজ  © সংগৃহীত

কলকাতায় আগে বহু রথী-মহারথী ফুটবলার খেলে গেছেন, ঘুরে গেছেন। পেলে নিজের সেরা সময়ে খেলে গেছেন। ঘুরে গেছেন অবসরোত্তর সময়েও। ম্যারাডোনাও দুই বার এসেছেন। অলিভার কানের বিদায়ী ম্যাচ দেখেছে কলকাতা। এছাড়া আইএসএল-এর সৌজন্যে মাতেরাজ্জি, পিরেস, রবার্তো কার্লোস, রোনালদিনহোদের মতো সুপারস্টার ঘুরে গেছেন কলকাতা। মেসি আর্জেন্টিনা দল নিয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুবভারতীতে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছেন।

এবার তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রচারমূলক সফরে দুই দিনের জন্য কলকাতায় আসছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। শুক্রকার (১২ মে) তাকে কলকাতা আনার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন প্রয়াত পেলে এবং দিয়েগো ম্যারাডোনাকে কলকাতায় আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী শতদ্রু দত্ত।

ইন্ডিয়ান এক্রপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ভারতের কলকাতা সফরে যাচ্ছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুনের শেষ দিকে অথবা জুলাইয়ের শুরুতে দুই দিনের সফরে ‘সিটি অব জয়’তে পা রাখবেন মেসি সতীর্থ।

সংবাদমাধ্যমে খবর, তবে মার্টিনেজের কলকাতা ট্যুর নিয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত আভাস দিয়েছেন, কলকাতায় আসার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন এমি মার্টিনেজ। কলকাতায় একটি চ্যারিটি ম্যাচও খেলবেন এমি মার্টিনেজ। মোহনবাগান মাঠে হওয়ার কথা রয়েছে এই ম্যাচের। তবে এর বাইরে আর এই সফরের বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি এখন পর্যন্তও।

কলকাতার ক্রীড়া প্রবর্তক এবং ব্যবসায়িক পরামর্শক শতদ্রু দত্ত বলেছেন, সফরের সম্ভাব্য তারিখ ২০-২১ জুন বা ১-৩ জুলাই। সবকিছু স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং আমরা দু-এক দিনের মধ্যে সঠিক তারিখ নির্ধারণ করব। আগামীকাল, আমরা একটি ছোট ফটোশুটও করব।

তিনি বলেন, আমি আনন্দিত যে অনেক চেষ্টার পর জুনের শেষে মার্টিনেজ কলকাতায় আসবেন। সমস্ত আর্জেন্টিনা সমর্থক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, এটি জয় সিটির জন্য বিশেষ কিছু হবে।।

প্রসঙ্গত লিওনেল মেসির নেতৃত্বে কাতরের দোহায় আর্জেন্টিনার ২০২২ সালের বিশ্বকাপ জয়ে মার্টিনেজ প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে দুটি পেনাল্টি শট এবং ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন দারুণভাবে।

তবে ট্রফি তোলার পর তার উদযাপনের পদ্ধতি এবং ফ্রান্সের তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে কটূক্তির কারণে বিতর্কিতও হয়েছিলেন তিনি। তার এমন আচরণকে অনেকে "অক্রীড়ার মতো আচরণের" বলে সমালোচনা করেছিলেন।