০৯ মে ২০২৩, ০৮:৫৩

লরিয়াসের বর্ষসেরা ফুটবলার মেসি

লরিয়াস বর্ষসেরা পুরুষ ক্রীড়াবিদের অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন লিওনেল মেসি।  © সংগৃহীত

লরিয়াস বর্ষসেরা পুরুষ ক্রীড়াবিদের অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন লিওনেল মেসি। এ নিয়ে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো পুরস্কারটি জিতলেন এ সুপারস্টার। ফুটবলারদের মধ্যে একমাত্র মেসি এই পুরস্কার জিতেছেন। এর আগে, ২০২০ সালে পুরুষ বিভাগে লুইস হ্যামিল্টনের সঙ্গে যুগ্মভাবে সেরা হয়েছিলেন তিনি। এবার জিতে আরেকটি অনন্য অর্জন ধরা দিলো আর্জেন্টাইন মহাতারকার হাতে। তিনি ব্যক্তিগত ও দলীয় পুরস্কারজয়ী প্রথম কোনো ক্রীড়াবিদও।

ফ্রান্সের প্যারিসে সোমবার (৮ মে) পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। বর্ষসেরা দলের পুরস্কার জিতেছে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা। 

ক্রীড়াঙ্গনের সম্মানজনক পুরস্কার লরিয়াস অ্যাওয়ার্ড দ্বিতীয়বারের মতো আর্জেন্টাইন মহাতারকার হাতে উঠেছে। যেখানে তিনি পেছনে ফেলেছেন টেনিস কিংবদন্তি রাফায়েল নাদাল ও ক্লাব সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপেকে। একইসঙ্গে সংস্থাটির বর্ষসেরা দলের খেতাব জিতে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। 

পুরস্কার হাতে নিয়ে আবেগ আপ্লুত মেসি বলেন, এটা বিশেষ এক সম্মান। বিশেষ করে এই বছর লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড প্যারিসে হওয়ায়। যারা এখানে আসার পর আমাকে আর আমার পরিবারকে সাদরে গ্রহণ করেছে। আমি সব সতীর্থকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। শুধু জাতীয় দলের নয়, পিএসজির সতীর্থদেরও। এর কিছুই আমি একা অর্জন করতে পারতাম না। এদের সঙ্গে সব কিছু ভাগ করে নিতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।

৮ মে সৌদি সফরের জটিলতা কাটিয়ে ক্লাবের জার্সি গায়ে অনুশীলনে ফিরেছেন মেসি। আর সেদিন রাতেই ফ্রান্সের প্যারিসে আয়োজন করা হয়েছিল জমকালো এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। যেখানে মেসি এসেছিলেন সস্ত্রীক।

এদিন আর্জেন্টাইন অধিনায়কের ঝুলি সমৃদ্ধ করেছে আরও একটি অর্জন। ‘ওয়ার্ল্ড টিম অব দ্য ইয়ার’ এর তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছিল ছয়টি দল। বাকি সবাইকে পেছনে ফেলে সেরার পুরস্কার জিতেছে কাতারে বিশ্বকাপজয়ী লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। বিশ্বকাপজয়ী দলের হয়েও পুরস্কার গ্রহণ করেন মেসি নিজেই।

১৯৯৯ সালে ‘লরিয়াস স্পোর্ট ফর গুড’ নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিল জার্মান অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান ডেইলমার ও সুইস বিলাসবহুল দ্রব্যের হোল্ডিং প্রতিষ্ঠান। ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে খেলাধুলায় ব্যক্তিগত ও দলীয় অবদানের ভিত্তিতে ২০০০ সাল থেকে একটি পুরস্কার চালু করা হয়, যা লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডস নামে পরিচিত।

ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্ব ও সর্বাধিক মর্যাদার মঞ্চ বিশ্বকাপ। কাতারে মরুর বুকে যার সর্বশেষ আসরটি পুরোপুরি নিজেদের করে নেয় লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। যা আলবিসেলেস্তাদের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট আর মেসির ক্যারিয়ারে পূর্ণতা এনেছে। সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরার মাধ্যমে নিকট ভবিষ্যতের সকল অর্জনও একপ্রকার দখলে নিয়েছেন মেসি। সেটি তিনি আবারও প্রমাণিত করলেন লরিয়াস অ্যাওয়ার্ড জয়ের মাধ্যমে।

এছাড়া দলীয়ভাবে পুরস্কৃত আর্জেন্টিনার সঙ্গে লরিয়াসে লড়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ, ইংল্যান্ড নারী ফুটবল দল, ফ্রান্স রাগবি দল, ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশনের গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্স, ফর্মুলা ওয়ানের রেড বুল রেসিং।