স্কুলে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি শহীদ আফ্রিদির

স্কুলে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি শহীদ আফ্রিদির
স্কুলে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি শহীদ আফ্রিদির  © সংগৃহীত

স্কুলে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি শহীদ আফ্রিদির পাকিস্তানে স্কুল থেকে শিশুদের ঝরে পড়া রোধে দরিদ্র শিশুদের খাদ্য সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সাবেক তারকা ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি। আপাতত দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিন্ধে চলবে তার এই সহায়তা কার্যক্রম।

এক সময়ের শীর্ষ ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি এখন সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। এ লক্ষ্যে শহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন নামের একটি অলাভজনক সংস্থা গড়েছেন শহীদ। সংস্থার চেয়ারম্যানও তিনি নিজেই।

পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আমিরাতভিত্তিক দৈনিক গালফ নিউজ জানিয়েছে, সোমবার সিন্ধের রাজধানী করাচির দরিদ্র শহরতলী এলাকা ওয়াঙ্গি গোথে একটি দাতব্য স্কুলের নতুন ভবন উদ্বোধন করতে যান শহীদ আফ্রিদি। সেখানেই এ ঘোষণা দেন তিনি। পাকিস্তানের দু’টি অলাভজনক বেসরকার সংস্থা এসএএফ এবং গ্রিন ক্রিসেন্ট স্কুলটি পরিচালনা করছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে আফ্রিদি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন এতটাই প্রতিকূল হয়ে উঠেছে যে অদূর ভবিষ্যতে দরিদ্র পরিবারগুলো হয়তো তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর পরিবর্তে কাজ করতে পাঠাবে এবং এই শিশুরাও পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে কায়িক পরিশ্রম করতে বাধ্য হবে কেবলমাত্র পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য।

তিনি বলেন, কেবল দারিদ্র্যের কারণে শিশুরা স্কুল থেকে ঝরে পড়বে— এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। শহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পাকিস্তানের স্কুলগামী যেসব শিশুর পরিবার দরিদ্র ও সহায়-সম্বলহীন, তাদের সবাইকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। ফাউন্ডেশন মনে করে, যদি এই সহায়তা চালু করা হয় তাহলে অর্থনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে আর কোনো শিশু স্কুল থেকে ঝরে পড়বে না। সিন্ধ প্রদেশের যেসব সরকারি স্কুলের ভবন জীর্ণ অবস্থায় আছে, সেগুলো নিজের ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে মেরামত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন শহীদ আফ্রিদি।

সেই সঙ্গে তিনি বলেন, দরিদ্র পরিবারগুলোর সন্তানরা যেন স্কুল শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন সিন্ধের জমিদার বা ভূস্বামীদের সঙ্গে দেখা করে তাদের কাছে সহায়তা চাইবেন। সিন্ধ প্রদেশের ধনী ব্যক্তিরা সহায়তা করতে এগিয়ে আসবেন— এমন প্রত্যাশা জানিয়ে এই ক্রিকেট তারকা বলেন, প্রতি বছর আড়াই থেকে ৩ কোটি শিশু পাকস্তানের বিভিন্ন স্কুল থেকে ঝরে পড়ে। এটা খুবই বড় একটি সংখ্যা এবং যদি ধনী ব্যক্তি ও দাতব্য সংস্থাগুলো এগিয়ে আসে, তাহলে এই সংখ্যা ব্যাপক হারে হ্রাস করা সম্ভব।


সর্বশেষ সংবাদ